নিজস্ব প্রতিবেদক: মুসলিম জাহানের বড় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা ত্যাগের মহিমা নিয়ে উদযাপিত হলো। আনন্দ আর খুশিকে ছাপিয়ে এ দিনটিতে বড় বিষয় ত্যাগের শিক্ষা। সামর্থ্যবান মুসলমানরা পরিশুদ্ধি এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পশু মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তার কাছে নিজেকে সমর্পণই ঈদুল আজহার মূল মর্মবাণী।
ঈদের নামাজের পরপরেই রাজধানীসহ সারাদেশে শুরু হয় পশু কোরবানি। এদিন খোদ রাজধানীতে কোরবানি হয় ১২ লাখ পশু।
সোমবার (১৭ জুন) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে এবার সারাদেশে কোরবানির পশুর চাহিদা ছিল ১ কোটি ৭ লাখ। সেখানে গরু-ছাগলসহ কোরবানির জন্য পশু প্রস্তুত ছিল প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ। যদিও ঢাকায় পশু কোরবানির আসল সংখ্যা নিয়ে কোনো তথ্য জানা যায়নি।
তবে সিটি করপোরেশনের ধারণা এ ঈদে প্রায় ১২ লাখ পশু কোরবানি হবে ঢাকায়। তাদের ধারণা জবাই করা পশু এবং কোরবানির হাট মিলিয়ে বর্জ্য তৈরি হয়েছে প্রায় ২২ হাজার টন।
এসব বর্জ্য দ্রুত সময়ে অপসারণে রাজধানীবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
দুপুরে থেকেই কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে মাঠে নামেন সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা। দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে দুই সিটির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মীদের ঈদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
দ্রুত ও নির্ধারিত সময়েই বর্জ্য অপসারণে হটলাইন খোলা আছে এবং বর্জ্য অপসারণের জন্য প্লাস্টিক ও পলিব্যাগ সরবরাহ করেছে দুই সিটি কর্তৃপক্ষ। রাত ৮টার মধ্যে সকল বর্জ্য অপসারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এবি/এইচএন