নিজস্ব প্রতিবেদক: সারা দেশে কতজন রোহিঙ্গাকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন উচ্চ আদালত। এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি শেষে মঙ্গলবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।
২০২৩ সালের ২৯ অক্টোবর একটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। প্রতিবেদনে ভোটার তালিকায় ৩৫ জন রোহিঙ্গার বিষয়ে সত্যতা পাওয়া যায়। এতে কক্সবাজার ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের জড়িতদের প্রমাণ পাওয়া যায় এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছেন। কিন্তু এসব রোহিঙ্গাকে নাগরিকত্ব দেওয়া সংক্রান্ত কাগজপত্র বাতিল করে তাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।
এসব রোহিঙ্গাদের ভোটার রেখেই ওই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করা হয়। এ অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ হামিদ হাইকোর্টে রিট করেন। শুনানি শেষে ২৪ এপ্রিল বিবাদীদের প্রতি ৪ সপ্তাহের রুল জারি করে ভোটার তালিকা থেকে তদন্তে প্রমাণিত রোহিঙ্গাদের নাম বাদ ও ৬ জুনের মধ্যে কক্সবাজার জেলায় কতজন রোহিঙ্গাকে ভোটার করা হয়েছে তা তদন্ত করে একটি প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।
আইনজীবী ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া জানান, এখানে ওই প্রতিবেদন দাখিল করা হয়নি। এর মধ্যে সারা দেশের ভোটার তালিকায় কতজন রোহিঙ্গা অন্তর্ভুক্ত আছে তা দাখিলের নির্দেশনা চেয়ে গত সোমবার সম্পূরক আবেদন করা হয়। ৮ আগস্টের মধ্যে এ প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন হাইকোর্ট।
বিবাদীরা হচ্ছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, রেজিস্ট্রার জেনারেল, সংশ্লিষ্ট ১৭ জন।
এবি/এইচএন