নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির লক্ষ্যে গত এক দশক ধরে যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নে একের পর এক মেগাপ্রকল্প হাতে নিচ্ছে সরকার। নতুন করে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশে আরও ১২টি এক্সপ্রেসওয়ে ও দশটি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে ক্ষমতাসীনরা।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন বক্তব্যে এ তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন শুরু হয়।
জাতীয় সংসদের এ অধিবেশনে উপস্থিত আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০৪১ অনুযায়ী বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্য নির্ধারণ হয়েছে। আধুনিক ও টেকসই মহাসড়ক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার জন্য সরকারের ১২টি এক্সপ্রেসওয়ে ও আরও দশটি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
সড়ক নিরাপত্তা বৃদ্ধি, ঢাকা মহানগরীতে যানজট নিরসনে দ্রুতগতির গণপরিবহন ব্যবস্থা (এমআরটি ও বিআরটি) প্রবর্তনসহ মোটরযান ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়নে পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন কার্যক্রম চলমান আছে।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ব্যবস্থার আওতায় ঢাকা-জয়দেবপুর-দেবগ্রাম-ভূলতা-মদনপুর প্রবেশ নিয়ন্ত্রিত মহাসড়কের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে।
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বালিয়াপুর হতে নিমতলী-কেরানীগঞ্জ-ফতুল্লা-বন্দর হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লাঙ্গলবন্দু পর্যন্ত ৩৯ দশমিক ২৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
এবি/এইচএন