নিজস্ব প্রতিবেদক : ঘূর্ণিঝড় রেমালের যে কোন ধরনের ধ্বংসলীলা থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষকে রক্ষা করতে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মুহিবুর রহমান।
উপকূলবর্তী সকল জেলাকে ঘূর্ণিঝড়ের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, খুলনা, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা জেলাসমূহকে বিশেষভাবে প্রস্তুত থাকার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মহিবুর রহমান আজ দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড় রেমালের মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পর্কে জানাতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।
এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল হাসানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই ঘূর্ণিঝড়টি মোকাবেলায় সার্বক্ষণিক তথ্য বিনিময়ের লক্ষ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের এনডিআরসিসি ২৪ ঘন্টা খোলা রয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ কার্যক্রম প্রেরণ শুরু করেছে।
তিনি বলেন, ৭৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবক গত কয়েকদিন যাবত মাঠে আগাম সতর্কবার্তা প্রচারসহ আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন ও প্রস্তুতের কাজ করছে এবং ওয়্যারলেসের মাধ্যমে সরাসরি ১৭৪টি মাঠ কার্যালয়কে সর্বোচ্চ প্রস্তুত থাকার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
মুহিবুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সাড়া বিশ্বের রোল মডেল। গত ১৫ বছরে ঘূর্ণিঝড়সহ সকল দুর্যোগে তাঁর নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশনায় আমরা যথাসময়ে প্রস্তুতি নিয়ে মানুষের দুর্দশা লাঘব এবং জীবন ও সম্পদের ক্ষতি কমাতে সক্ষম হয়েছি।
এই ঘূর্ণিঝড়টিও যাতে একই ধারাবাহিকতায় সফলভাবে মোকাবেলা করতে পারি তার জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি।
এবি/এইচএন