নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের অবকাঠামোগত খরচ ইউরোপ এবং অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
বুধবার (২২ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের এক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
সমবায়মন্ত্রী বলেন, প্রশ্ন উঠেছে সড়ক ও অবকাঠামো কতটা টেকসই তা নিয়ে। কারণ আমরা একটি জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। আমাদের জমি জলাভূমি, যা উন্নয়ন করে ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই অবকাঠামোর জন্য এটি আমাদের চ্যালেঞ্জ। আমাদের অবকাঠামোগত খরচ ইউরোপ এবং অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি। যেহেতু আমরা আমাদের রাস্তার অবকাঠামো পুনর্নির্মাণ করতে যাচ্ছি, আমাদের প্রথমে মাটির শক্তি নিশ্চিত করতে হবে। এটি আমাদের অবকাঠামোগত খরচ বাড়ায়।
তাজুল ইসলাম বলেন, যদি রাস্তা তৈরি করার পর ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে যায় তাহলে সেটি সঠিক নীতি হবে না। তাই আমাদের টেকসই নির্মাণ কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। আগে দেড় বছরে এলজিইডির নির্মিত সড়কটি ক্ষতিগ্রস্ত হতো। তাই আমি প্রকৌশলীদের সঙ্গে বসেছি এবং অন্তত পাঁচ বছর রাস্তা টিকিয়ে রাখার উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছি। রাস্তা নির্মাণের সময় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিভিন্নভাবে কাজ করি। সারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের যে কর্মসূচি আছে এগুলোতে তারা অংশগ্রহণ করে। তারা আমাদের লোন দেয়। ব্যাংক যেমন কাস্টমারকে লোন দেয়, বিশ্বব্যাংকও একটা ব্যাংক। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, জাইকা অথবা যারা আছে সবাই লোন দেয়। তারা তখনই লোন দেয় যখন দেখে এখানে টাকাটা দিলে আবার ফেরত আসবে। কারণ ব্যাংক যেমন কাস্টমারকে উদ্বুদ্ধ করে টাকা নেওয়ার জন্য কারণ তার আয় তেমন আছে। ইন্টারনাল গভরনেন্স সিস্টেম, অর্থনৈতিক ক্রমবর্ধমান ভালো আছে সুতরাং সে তার ব্যাংকে টাকাটা ফেরত দিতে পারবে লাভসহ। তখন তারা তাদের লোন দেয়।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এক সময় ঋণ পেতো না। এখন আমাদের অফার থাকে। কিন্তু আমরা বুঝে শুনে নেই, যেটা আমাদের দেশের জন্য লাভজনক। যেমনিভাবে আপনি যখন একটি ব্যাংক থেকে কাস্টমার হিসেবে টাকা নেন তখন ব্যাংকের সঙ্গে দরকষাকষি করেন যে আমি কতো ইন্টারেস্ট রেইটে নেবো, কতো দিনে পরিশোধ করবো। সেভাবে আমরাও লোন নিয়ে থাকি।
এবি/এইচএন