নিজস্ব প্রতিবেদক : স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে যুগোপযোগী ও কর্মদক্ষ যুবসমাজের বিকল্প নেই জানিয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সম্ভাবনাময় সময় পার করছে। জনসংখ্যাগত এই সুবিধার সঠিক ব্যবহার করতে আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
শনিবার (১১ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের অধ্যাপক হাবিবুল্লাহ কনফারেন্স হলে ‘ইয়ুথ লিডারশিপ স্কিলস ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন৷
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, এমডিজি, এসডিজি, ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ ইত্যাদি প্রমাণ করে, সরকার যুবসমাজ ও দেশের নাগরিকদের নিয়ে দূরদর্শী পরিকল্পনা করছে।
তিনি বলেন, আমাদের পণ্য ও সেবা বিশ্বমানের হতে হবে। তাহলেই এই মুক্তবাজার অর্থনীতির যুগে আমরা অন্যান্য দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে পারব। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করতে হলে নিজেরদের যোগ্য ও দক্ষ করে গড়ে তোলাটা একান্ত অপরিহার্য।
ডিজিটাল বাংলাদেশের বাস্তবায়ন অবারিত সুযোগের দুয়ার খুলে দিয়েছে, জানিয়ে তিনি বলেন, শতভাগ বিদ্যুতায়ন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, সাবমেরিন ক্যাবলের ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও এখন প্রযুক্তির ছোঁয়া। এসব সুযোগ-সুবিধা তরুণ ও জনসাধারণের জন্য নানা রকমের সম্ভাবনা ও আয়ের মাধ্যম সৃষ্টি করছে। যুবসমাজ ফ্রিল্যান্সিংসহ রিমোট জবের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে, যা অর্থনীতিকে করছে বেগবান।
স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার বিকল্প নেই, জানিয়ে মন্ত্রী আরো বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ একটি বহুমাত্রিক ধারণা। সকল ভেদাভেদ ভুলে সকলে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে জ্ঞান ও দক্ষতাভিত্তিক সমাজ গঠনে এগিয়ে আসলে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা তথা স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করতে পারব।
অ্যাকশনিস্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ড. শারিন শাহাজাহান নাওমির সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় সম্মানিত বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্মার্ট বাংলাদেশ নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ এমপি।
এবি/এইচএন