নিজস্ব প্রতিবেদক: আমাদের দেশে মাস্তান ও পেশিশক্তি আছে। ফলে, প্রিসাইডিং অফিসার অসহায় হয়ে পড়ে উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আমরা নির্বাচন বাতিল করতে পারব। তবে, যার জন্য বাতিল হবে তিনি আর নির্বাচন করতে পারবেন না।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: প্রত্যাশা ও বাস্তবতা’ শীর্ষক বৈঠকে সভাপতি হিসেবে স্বাগত বক্তব্যে সিইসি এ কথা বলেন।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, রাজনীতি ও রাজনীতিক প্রশ্ন বেশ তীক্ষ্মভাবে বিভক্ত। আমরা সামনের দিকে তাকাতে চাই। আমরা কিছুটা নতুন আঙ্গিকে বিষয়টা উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি। যারা রাজনীতিতে সম্পৃক্ত নন, বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়- তারা বিদগ্ধজন।
তাদের কাছ থেকে জনগণের প্রত্যাশাটাই আপনাদের মাধ্যমে যতদূর সম্ভব উঠে আসে। প্রত্যাশার বিপরীতে অনুকূল বাস্তবতা, প্রতিকূল বাস্তবতা রয়েছে। পুরো একাডেমিক পয়েন্ট থেকে আলোচনা করলে সুবিধা হবে, আমরা সমৃদ্ধ হব।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন, আমরাও জানি; আমাদের দেশে রাজনীতি রাজনীতিক প্রশ্নে বেশ তীক্ষ্মভাবে বিভক্ত। যার ফলে রাজনৈতিক বিতর্ক উপস্থাপন হলে আলোচনাগুলো খুবই ধারালো, আক্রমণাত্মক হয়ে থাকে। আজকে সেদিকে যাব না। আমরা সামনের দিকে তাকাতে চাচ্ছি। আপনাদের মাধ্যমে জনগণের প্রত্যাশা জানতে পারলে কিছুটা ঋদ্ধ হব।
সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এ সভায় সাবেক নির্বাচন কমিশনার, আমলা ও সিনিয়র সাংবাদিক, নির্বাচন কমিশনাররা এবং ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, বৈঠকে ৮ জন আলোচক ও ২০ জন অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
আলোচকদের মধ্যে রয়েছেন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান, সাবেক রাষ্ট্রদূত মো. হুমায়ূন কবীর, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান ও ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত।
আর অতিথিরা হলেন, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক আল মাসুদ হাসানুজ্জামান, খবর সংযোগ সম্পাদক শেখ নজরুল ইসলাম, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, নাগরিক টিভির হেড অব নিউজ দীপ আজাদ, ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক আশিষ সৈকত, সিনিয়র সাংবাদিক মাসুদ কামাল, সিনিয়র সাংবাদিক অজয় দাস গুপ্ত, সময় টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ জুবায়ের, আরটিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক রহমান, মাছরাঙা টেলিভিশনের হেড অব নিউজ রেজোয়ানুল হক রাজা, আজকের পত্রিকার জ্যেষ্ঠ সহকারী সম্পাদক বিভুরঞ্জন সরকার, প্রথম আলোর সহকারী সম্পাদক সারফুদ্দিন আহমেদ, গাজী টিভির হেড অব নিউজ ইকবাল করিম নিশান, এখন টিভির সম্পাদকীয় প্রধান তুষার আব্দুল্লাহ, দৈনিক আমার সংবাদ সম্পাদক মো. হাশেম রেজা, দ্য ডেইলি অবজারভারের অনলাইন ইনচার্জ কাজী আব্দুল হান্নান, যুগান্তরের সিনিয়র সাংবাদিক ও কলাম লেখক মাহবুব কামাল, মাইটিভির হেড অব নিউজ শেখ নাজমুল হক সৈকত, বিবি আছিয়া ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক (সিইও) মো. মনির হোসেন এবং মোহনা টিভির নিউজ এডিটর (ভারপ্রাপ্ত সিএনই) আব্দুর রউফ।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে যারা চিন্তা-ভাবনা করেন, নানা সময় নির্বাচন করেছেন উনাদের কাছ থেকে আমরা ফিডব্যাক নেব যে আমরা গত একবছর যে কাজ করলাম, এতে তাদের মতামত কী। যদি তাদের কোনো গুড সাজেশন থাকে, ভালো নির্বাচনের জন্য আরও কী করা যেতে পারে, এগুলোই শুনবো।
বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য নির্বাচন কমিশনার এবং ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।
এবি/এইচএন