বাণিজ্য ডেস্ক: স্কুলের শিক্ষার্থীদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত করতে সারাদেশের বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমের আরও ৫০০ স্কুলে ২০ হাজার কপি গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’ বিতরণ করবে বিকাশ।
বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ অবলম্বনে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) প্রকাশ করে গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’। বিকাশের পৃষ্ঠপোষকতায় স্কুলগুলোতে এ বিতরণ কার্যক্রমে সহায়তা করবে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। ১৭ মার্চ (রোববার) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের অডিটোরিয়ামে স্কুল শিক্ষার্থী ও প্রতিনিধিদের হাতে বই তুলে দিয়ে এবারের কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ।
বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর, বিকাশের চিফ এক্সটার্নাল অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল শেখ মো: মনিরুল ইসলাম (অব:), এবং বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শামীম আল মামুন এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, মুজিব শতবর্ষ উদযাপন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে সারাদেশের ৫০০ টি স্কুলে ২০ হাজার কপি গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’ বিতরণ করে বিকাশ। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্কুল, ইংরেজি মাধ্যমস্কুল সহ বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের কাছে বইগুলো পৌঁছে যাওয়ায় তারা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানার সুযোগ পায়।
এই কার্যক্রম ফলপ্রসূতা অনুধাবন করে বিগত বছরের ধারাবাহিকতায় আবারও দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বাংলা এবং ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলোয় কার্যক্রমটি সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এবার নির্বাচিত প্রতিটি স্কুলে ৪ সেট করে মোট ৪০টি বই দেওয়া হবে। ফলে একই সঙ্গে ৪০ জন শিক্ষার্থী স্কুলের লাইব্রেরি থেকে বইটি পড়ার সুযোগ পাবেন।
সংলাপ, গদ্য ও চিত্রের যুৎসই সমন্বয়ে শিশু-কিশোরদের উপযোগী ফরম্যাটে বঙ্গবন্ধুর শৈশব, কৈশোর, সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার বর্ণনা চিত্রিত হয়েছে গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’-এ। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ অবলম্বনে রচিত ও চিত্রিত দশ খন্ডে প্রকাশিত ‘মুজিব’ সব বয়সী পাঠককেই বঙ্গবন্ধুর সম্পর্কে জানার সুযোগ দেবে।
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, রাষ্ট্র একটি জাতির জন্য সবচেয়ে বড় স্বপ্ন। আর সেই স্বপ্ন আমরা পেয়েছি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে। জাতিকে তিনি মুক্তির স্বপ্ন দিয়েছেন। এই যে মুক্তি, এই যে সুযোগ, এই যে অপার সম্ভাবনার সামনে আমরা দাড়িয়ে আছি, এটাই বঙ্গবন্ধু আমাদেরকে দিয়েছেন। মুজিব গ্রাফিক নভেলের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর চরিত্র, আদর্শ, সপ্ন, কর্মস্পৃহা সবকিছু উপলব্ধি করা যায়। এই বইটি যে ছেলে মেয়েরা পড়বে, তাদের মনে চিরদিনের জন্য মহৎ কিছু করার স্বপ্ন তৈরি হবে।
বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর বলেন, বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী পড়ে আমার উপলব্ধি হয়েছে, বাঙালি জাতির উপর তার প্রচন্ড আত্মবিশ্বাস ছিলো যে এই জাতি কোথাও পৌঁছাবে। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী অবলম্বনে শিশু কিশোরদের জন্য এই কমিক সিরিজটি প্রকাশিত হলেও এটা সব বয়সের মানুষের ভালো লাগবে। বইটা পড়ে বঙ্গবন্ধুর গুণাবলীগুলোর সামান্যতম অর্জন করার প্রয়াস থাকলে, ভবিষ্যতে যে নেতৃত্ব তৈরি হবে তা জাতির জন্য মঙ্গলজনক হবে। বই প্রকাশিত হওয়ার পর, সেগুলো পড়ানোর উদ্যোগ নেয়াটা খুবই জরুরি। শিশু-কিশোরদের এই বইগুলো পড়ানোর জন্য বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র যে বিশাল কর্মযজ্ঞ পরিচালনা করছে, সেজন্য তাদের ধন্যবাদ।এই উদ্যোগের সহযোগী হতে পেরে বিকাশ গর্বিত।
উল্লেখ্য, বিকাশ তার যাত্রা শুরুর সময় থেকেই বই বিতরণের সঙ্গে সম্পর্ক গড়েছে। আগামী প্রজন্মের মাঝে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে দেশের দায়িত্বশীল কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান বিকাশ ২০১৪ সাল থেকে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়া কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত আছে। এই কার্যক্রমের আওতায় অংশ নেওয়া প্রায় ৩ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখন পর্যন্ত প্রায় তিন লাখের মতো বই বিতরণ করেছে বিকাশ, যার মাধ্যমে অন্তত ৩০ লাখ পাঠক উপকৃত হয়েছে।
এবি/এইচএন