রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫
জাতীয় প্রকাশিত ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৯:২৫
সর্বশেষ আপডেট ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৯:২৫

এডিসি হারুনকে নিয়ে যা বললেন ডিবিপ্রধান 

নিজস্ব প্রতিবেদক: ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও গোয়েন্দাপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেছেন, ছাত্রলীগের দুই নেতাকে থানায় নিয়ে বেধড়ক মারধর করার বিষয়টি প্রমাণিত হলে ডিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে ডিবিপ্রধান এ কথা বলেন।

একজন সাংবাদিক ডিবিপ্রধানকে প্রশ্ন করেন, ডিএমপির রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদ দুজন ছাত্রলীগ নেতাকে থানায় নিয়ে পিটিয়েছেন। বেধড়ক মারপিট করেছেন। তারা গুরুতর আহত হন। এ বিষয়ে ডিএমপি কোনো ব্যবস্থা নেবে কিনা?

ডিবিপ্রধান জবাবে বলেন, ডিএমপি কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানেন। এটি তদন্ত করা হবে, তদন্তে এডিসি দোষী হলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে নির্যাতনের অভিযোগটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।

রোববার সকালে তিনি বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। ছাত্রলীগের ছেলেদের সঙ্গে এডিসি হারুনের গণ্ডগোল হয়েছে। অভিযোগ আমলে নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে, শনিবার রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠে পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে।

আহতরা হলেন— ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাবির শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম।

ভুক্তভোগী ও তাদের সহপাঠীদের অভিযোগ, পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদ তাদের থানায় নিয়ে বেদমভাবে পিটিয়েছেন। ছাত্রলীগের নেতা পরিচয় দেওয়ার পরেও হারুনের সঙ্গে ১০-১৫ জন পুলিশ সদস্য মিলে তাদেরকে পেটান। এরমধ্যে নাঈমের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার মুখমণ্ডল মারত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত বর্ণনায় ছাত্রলীগ নেতারা জানান, পুলিশের ৩১ ব্যাচের ক্যাডার এডিসি হারুন শনিবার রাতে ৩৩ ব্যাচের আরেক নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বারডেম হাসপাতালে আড্ডা দিচ্ছিলেন। ওই সময় নারী কর্মকর্তার স্বামী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান। নারী কর্মকর্তার স্বামীও একজন ক্যাডার কর্মকর্তা। তার সঙ্গে এডিসি হারুনের বাক-বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সেটি হাতাহাতিতে রূপ নেয়। এরই জেরে পুলিশ ডেকে এনে তাদেরকে থানায় নিয়ে নির্মম নির্যাতন করে।

এবি/ওশিন

Copyright © Amarbangla
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

জুলাই আন্দোলনে নারীদের ওপর যৌন সহিংসতার তথ্য পেয়েছে জাতিসংঘ

জুলাই অভ্যুত্থানের সময় নারী আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসত...

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৮৬ ফিলিস্তিনি নিহত

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আই...

রংপুরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, সাংবাদিকসহ আহত ২০

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রংপুরের বদরগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর...

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নিয়ে আলোচনার জন্য জরুরি বৈঠক ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা

বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য জরু...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
খেলা