নিজস্ব প্রতিবেদক: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, প্রতিটি ক্ষেত্রে নিজ মন্ত্রণালয়ের অধীনে আরো স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আনার চেষ্টা করা হবে। তিনি বলেন, ‘সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় আমি নিজেও থাকতে চাই না। পেশাদারিত্বের সাথে যদি কমিটি তৈরি হয় এবং স্বচ্ছতার সাথে যদি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, সেক্ষেত্রে কেন মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসেবে আমাকে নাক গলাতে হবে।’
সোমবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় শেষে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এই মন্ত্রণালয় তথ্য নিয়ে কৌশলগত এবং প্রশাসনিক দুই ধরণের বিষয়ই রয়েছে। প্রশাসনিক বিষয়গুলো নিয়ে যদি সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকতে হয়, তাহলে কৌশলগত বিষয় নিয়ে চিন্তা করবো কখন এবং চিন্তা করে সেগুলোকে মোকাবিলা করার রাস্তা বের করবো কখন।’ তিনি মনে করেন, রাজনৈতিক বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা করার জন্য কিছু সময় বরাদ্দ রাখতে হবে। চিন্তা করাটাও একটা কাজ। সারাক্ষণ তিনি প্রত্যেকটা কমিটিতে, প্রত্যেকটা কাজে, প্রত্যেকটা সিদ্ধান্ত গ্রহণে যুক্ত থাকলে, মৌলিক জায়গাগুলোতে সমাধান বের করা তার পক্ষে সহজ হবে না। অধ্যাপক আরাফাত মনে করেন, গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা যতটা দরকার, ঠিক ততোটুকুই দরকার অপতথ্যকে দমন করা। এ ব্যাপারেও কারো কোনো দ্বিমত নেই। আবার একই সাথে অপতথ্য যে সমাজে আছে, সে ব্যাপারেও কারো কোনো দ্বিমত নেই। এগুলো যদি সত্যি হয়, তাহলে দমন করার উপায় বের করতে হবে। তিনি এ বিষয়ে সকলের সহযোগিতা চান।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কিছু বাণিজ্যিক বিষয় আছে, কিছু স্বার্থের বিষয় থেকে যায়। সামাজিকভাবে কেউ স্বার্থের ঊর্ধ্বে নয়। কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে সবাইকে খুশি করতে পারবো না। সবকিছু ভারসাম্য রক্ষা করে সঠিক সিদ্ধান্ত কীভাবে নেওয়া যায়, সেই চেষ্টা করা হবে। কিন্তু সিদ্ধান্তটা নিতে হবে দিনশেষে বৃহত্তর স্বার্থ চিন্তা করে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনসহ প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন। প্রতিমন্ত্রী সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
এবি/এইচএন