নিজস্ব প্রতিবেদক : খাদ্যপণ্যের অবৈধ মজুতদারি যারা করেন-তারা যে দলেরই হোক আর যত শক্তিশালী লোকের আত্মীয় হোক না কেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে করণীয়’ শীর্ষক অংশীজনদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, চালের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার জিরো টলারেন্সে রয়েছে। চালের দাম হঠাৎ করে বাড়ার কোনো যুক্তিই গ্রহণযোগ্য নয়।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, খাদ্যদ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর। আমরাও এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে আছি।
তিনি বলেন, সরকারের অগ্রাধিকার এখন দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করে সাধারণ মানুষকে শান্তিতে রাখা। অনেক রক্ত আর ত্যাগের বিনিময়ে আমরা বাংলাদেশ পেয়েছি। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সবাই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করলে, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আসবে খুব শিগগিরই।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, মিল মালিক ও ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো চালের দাম নির্ধারণ করতে পারবেন না। যারা বাজার অস্থির করার চেষ্টা করবেন, তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মিলগেটে বিক্রি করা চালের বস্তায় তারিখ ও দাম উল্লেখ করতে হবে। চালের দাম নিয়ন্ত্রণে সারা দেশে মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এখন কৃষকের কাছে ধান নেই। অনেক হাসকিং মিলে ঘাস গজিয়ে উঠেছে, বিদ্যুৎ সংযোগ নেই অথচ তাদের গুদাম রয়েছে। এসব গুদামে অবৈধভাবে ধান মজুত করা হয়। এ বিষয়গুলো আমরা সার্বক্ষণিক নজরদারির মধ্যে রেখেছি। কেউ কৃত্রিম সংকটের ষড়যন্ত্র করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, অনেক মিলমালিক লোন নিয়ে অটোমেটিক মিল চালাতে পারেন না। দেউলিয়া হওয়ার পর করপোরেট প্রতিষ্ঠান সেই মিল কিনে নেয়। তবে কেউ ফুড গ্রেইন লাইসেন্স ছাড়া ধান চালের ব্যবসা করতে পারবেন না।
এবি/এইচএন