সংগৃহিত
জাতীয়
ভারতসহ ৯ দেশের পর্যবেক্ষক

নির্বাচন অবাধ, স্বচ্ছ ও উৎসবমুখর হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, স্বচ্ছ ও উৎসবমুখর হয়েছে উল্লেখ করে ভারতসহ নয়টি দেশের নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল জানিয়েছেন, ভোটারদের ভয়-ভীতি দেখানো বা হুমকি চোখে পড়েনি। যা গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের জন্য ভালো ইঙ্গিত বলেও মন্তব্য করেছেন তারা।

সোমবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে সদ্য সমাপ্ত জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের প্রতিক্রিয়া জানাতে জাতীয় প্রেস ক্লাবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ কথা জানান।

সংবাদ সম্মেলনে হোয়াইট হাউস ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ও চিফ অব স্টাফের সাবেক উপ- সহকারী এবং আমেরিকান গ্লোবাল স্ট্র্যাটেজিসের সিইও আলেকজান্ডার বার্টন গ্রে বলেন, ৭ জানুয়ারি আমরা তিনটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় মোট ২০টি ভোট কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করেছি। আমরা ৫ জানুয়ারি বাংলাদেশে এসেছি এবং গতকাল পর্যন্ত আমরা দেখেছি, বাংলাদেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকারের ব্যাপারে খুবই আন্তরিক, যা বিশ্বের অন্য দেশে খুব কমই পাওয়া যায়। বিশ্বের অনেক দেশ আছে, যারা ভোট না দেওয়ার জন্য জরিমানা আরোপ করে এবং অনেক দেশ ভোটকে উৎসাহিত করার জন্য অতিরিক্ত নাগরিকত্ব সুবিধা দেয়। কিন্তু, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের ভোট দেওয়ার আগ্রহ ও উৎসাহ আছে, যা আমরা খুবই উৎসাহব্যঞ্জক বলে মনে করি।

আলেকজান্ডার বার্টন গ্রে আরও বলেন, সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টায় শেষ হয়। আমরা দেখেছি, বাংলাদেশের ভোট প্রক্রিয়া বিশ্বের অনেক দেশের মতোই। কিছু রাজনৈতিক দলের ভোট থেকে বিরত থাকা নিয়ে প্রচারণা এবং একটি বড় রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ না করা নির্বাচনের উৎসবমুখর পরিবেশে কিছুটা প্রভাব ফেলেছে। সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিলে পরিবেশ আরও সুন্দর ও আনন্দময় হতো। আমরা যেসব কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করেছি, সেখানে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে আমরা জানতে পেরেছি, ভোট দেওয়ার পথে তাদের কোনো বাধার সম্মুখীন হতে হয়নি। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী বা দল দ্বারা ভোটারদের ভয়-ভীতি দেখানো বা হুমকি দেখা যায়নি। এটা গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের জন্য ভালো ইঙ্গিত দেয়। আমরা কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার কথা শুনেছি। সরকারি প্রার্থী, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য দলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের মতো, যা অপ্রত্যাশিত। কিন্তু, সার্বিক নির্বাচনি পরিস্থিতি পর্যালোচনা করলে সেসব ঘটনা খুবই নগণ্য।

এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন—সাবেক মার্কিন কংগ্রেসম্যান জিম বেটস, অস্ট্রেলিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য শাওকেট মুসেলমানে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ওএসসিইর সার্টিফাইড নির্বাচন পর্যবেক্ষক টেরি এল ইজলি, ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ ইকোনমিক ফোরামের কমিউনিকেশন ডিরেক্টর ক্রিস্টোফার জন ব্ল্যাকবার্ন। এছাড়াও আয়ারল্যান্ড, জার্মানি, নরওয়ে ও জাপানের প্রতিনিধিরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে শ্রীলঙ্কার সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী এবং দেশটির মুসলিম কংগ্রেসের ডেপুটি চিফ সৈয়দ আলী জহির তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে আমরা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, ইরাক, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ভারত, নেপাল এবং মালদ্বীপ থেকে এসেছি। আমরা ৫ জানুয়ারি বাংলাদেশে এসে প্রাক-নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছি৷ ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের দিন আমরা খুব সকালে পরিদর্শন শুরু করি। ঢাকা শহরের আশপাশে প্রায় ৩০টি ভোটকেন্দ্র ঘুরেছি আমরা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে আসার পরই আমরা জানতে পারি যে, নির্বাচন বিরোধীরা ঢাকায় একটি ট্রেনে আগুন দিয়েছে। ভোটকেন্দ্র ভাঙচুর, আগুন লাগানোর কিছু খবরও আমরা শুনেছি। আমরা এই ধরনের কার্যকলাপের জন্য তীব্র নিন্দা জানাই। যারা এই ধরনের সহিংস ও ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনকেও দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে বলি। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ সরকার গণতন্ত্র, আইনের শাসন এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে সরকার জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান।

তিনি আরও বলেন, আমরা আগেই বলেছি, ৫ জানুয়ারি থেকে গতকাল (রোববার) পর্যন্ত আমরা দেখেছি বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচনের ব্যাপারে খুবই আন্তরিক। সাধারণ মানুষের ভোটদানে অনেক আগ্রহ ও উদ্দীপনা রয়েছে, যা সত্যিই প্রশংসনীয়। আমরা লক্ষ্য করেছি, সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টায় শেষ হয়েছে। আমরা মানুষকে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে দেখেছি। এর মধ্যে নারী ও নতুন ভোটারদের উপস্থিতি আমাদের চোখে পড়েছে।

তিনি বলেন, সব কেন্দ্রের ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে ভোট দিতে তারা কোনো বাধার সম্মুখীন হননি। নির্বাচনে প্রার্থী বা দল দ্বারা ভোটারদের কোনো ভয়ভীতি প্রদর্শনও দেখা যায়নি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কলকাতা প্রেস ক্লাবের সভাপতি স্নেহাশিস সূর, এশিয়া টাইমসের বিশেষ প্রতিবেদক জাভিয়ের পিয়েদরা, কনজারভেশন কমনওয়েলথ অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান এমানুয়েল ফিনদোরো-ওবাসি, আফ্রিকা হাউজ লন্ডনের পরিচালক রিচার্ড সেমেতিগো, আইডিসিও’র সভাপতি জুন শিনদো, মালদ্বীপ নির্বাচন কমিশনের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আমজাদ মুশতাফা, এডিইএল’র ভাইস চেয়ারম্যান ইব্রাহিম আইদ মোহামেদ, নেপাল মুসলিম কমিশনের সভাপতি সামিম মিয়া আনসারি ও সদস্য মোহামেদিন আলী, থাইল্যান্ডের মানবাধিকার কর্মী জুরপাস পিথাকসেকাথারন ও ইরাকের মানবাধিকার কর্মী তালার মাহমুদ কারীম।

এবি/এইচএন

Copyright © Amarbangla
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

গণপিটুনির শিকার ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ছাত্রলী...

বৃহস্পতিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রতি সপ্তাহের একেক দিন বন্ধ থাকে রাজধানীর...

টিভিতে আজকের খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক: প্রতিদিনের মতো আজ বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর...

লেবাননে ওয়াকিটকি বিস্ফোরণ, নিহত ২০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : লেবাননের বিভিন্ন স্থানে ওয়্যারলেস কমিউন...

আবারও রিমান্ডে সালমান-আনিসুল হক 

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি...

আগস্টে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৭৬

নিজস্ব প্রতিবেদক : সারাদেশে গত আগস্ট মাসে ৪৬৭টি সড়ক দুর্ঘটনা...

কারাগার থেকে পালানো আসামি গ্রেফতার

জেলা প্রতিনিধি : গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে পালানো মৃত্...

বিভিন্ন খাত সংস্কারে সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি বছরে বাংলাদেশকে ২ বিলিয়ন ডলার সহায়তা...

আশুলিয়ায় আজও বন্ধ ২২ কারখানা

নিজস্ব প্রতিবেদক : শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার অধিকাংশ পোশাক কারখানা...

ঢাবির হলে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
খেলা