নিজস্ব প্রতিবেদক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, রাজনৈতিক কারণে কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না, যাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে তারা সন্ত্রাসী ।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় দোহা সফর শেষে দেশে ফিরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং ৭ জানুয়ারির নির্বাচন সামনে রেখে নাগরিক পরিসর সংকুচিত হওয়ার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা বিশ্বের ছয়টি সংগঠন।
মঙ্গলবার রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটসের (আরএফকেএইচআর) ওয়েবসাইটে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। এ বিষয়ে ড. মোমেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সাংবাদিকরা।
জবাবে তিনি বলেন, আমরা কোনো বিরোধীদলকে হয়রানি করছি না, নির্যাতন করছি না। আমরা যারা সন্ত্রাসী, যারা মানুষের বাড়িঘর জ্বালায়, জনগণের সম্পত্তি; বিশেষ করে বাস, ট্রেন, ট্রাক জ্বালায়…। যারা মানুষকে মারছে তাদের আমরা শাস্তির আওতায় নিচ্ছি। আমরা কোনো রাজনৈতিক কারণে কাউকে হয়রানি করছি না। আমরা যাদের গ্রেফতার করছি তারা সন্ত্রাসী।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স। আমরা আহ্বান করবো- যারা সন্ত্রাসী কার্যক্রম করছেন, সেটা পরিহার করে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হবেন।
আরএফকেএইচআর-এর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা বিবৃতিতে যাদের ব্যাপারে উদ্বেগ জানানো হচ্ছে, সেটা তো বিরোধীদলকে বোঝানো হচ্ছে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বলছে, তাদের আমি সন্ত্রাসী বলছি। আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, যাদের আমরা ধরেছি, তাদের সন্ত্রাসের সঙ্গে সম্পৃক্ততা পেয়েছে বলেই ধরেছি। আমাদের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে হয়রানি করছি না।
বিবৃতিতে মানবাধিকার ইস্যুতে উদ্বেগ জানানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন রাখা হলে দ্বিমত পোষণ করে মন্ত্রী বলেন, আমি প্রতিবেদন দেখিনি। মানবাধিকারে বাংলাদেশ আদর্শ। আপনি অন্য দেশের সঙ্গে যদি তুলনা করেন, আমরা একটা আদর্শ দেশ। গাজায় কী ধরনের মানবাধিকার হচ্ছে? এমনকি অন্য উন্নত দেশেও লোকজন ক্লাবে-স্কুলে মেরে ফেলে। আমাদের এখানে বিনাবিচারে কাউকে মারে না।
আমাদের কাছ থেকে অন্য মানবাধিকার এবং ন্যায়বিচারের বিষয়ে শিক্ষা নেওয়া দরকার বলেও মন্তব্য করেন ড. মোমেন।
এবি/এইচএন