নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর অসামান্য প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা ও দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী আজ একটি আধুনিক ও ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনী হিসেবে সুপরিচিত।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের উত্তরোত্তর উন্নয়নে ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে নৌবাহিনীকে যুগোপযোগী এবং টেকনোলজি সম্পন্ন স্মার্ট নৌবাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে, যা দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সমুদ্রভিত্তিক সুনীল অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান বলেন, একটি সমৃদ্ধশালী নৌবাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে নৌবহরে বিভিন্ন শ্রেণির জাহাজ, স্পেশাল ফোর্স, হেলিকপ্টার, এমপিএ ও সাবমেরিন যুক্ত হয়েছে এবং কমিশনিং করা হয়েছে একাধিক নৌ ঘাঁটি।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টায় পটুয়াখালীর লালুয়া ইউনিয়নে বানৌজা শের-ই-বাংলা ঘাঁটিতে নৌবাহিনীর বি/২০২৩ ব্যাচের ৬৭১ জন নবীন নাবিকের শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
নবীন নাবিকদের উদ্দেশ্যে নাজমুল হাসান আরও বলেন, দেশের প্রয়োজনে নবীন নাবিকদের উপর অর্পিত দায়িত্ব দক্ষতা, আনুগত্য ও পেশাদারিত্বের সাথে সম্পন্ন করতে হবে।
এছাড়া তিনি জাতীয় ও আন্তজর্তিক পরিমণ্ডলে নৌবাহিনীর সুনাম বৃদ্ধিতে উদ্যোগী ও কার্যকরী ভূমিকা পালনেরও আহ্বান জানান।
এসময় সহকারী নৌপ্রধান ও খুলনা নৌ অঞ্চলের আঞ্চলিক কমান্ডারসহ উচ্চপদস্থ সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তা এবং নবীন নাবিকদের অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে হাতে লাল সুবজ পতাকা আর দীপ্ত কন্ঠে দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করার শপথ করেন নবীন নাবিকরা। এসময় মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।
পরে নবীন নাবিকদের শৃঙ্খলা, নিয়মানুবর্তিতা, নৈতিকতা ও প্যারেডসহ সকল বিষয়ে সেরা প্রথম স্থান অধিকারী তাহাজ্জত হোসেন তপুকে ‘নৌপ্রধান’ পদক, দ্বিতীয় স্থান অধিকারী ফারদিল হোসেনকে ‘কমখুল পদক’ ও তৃতীয় স্থান অধিকারী আশিফুর রহমানকে ‘শের-ই-বাংলা’ পদক প্রদান করা হয়।
দীর্ঘ ২২ সপ্তাহের প্রাথমিক বা বুটক্যাম্প প্রশিক্ষণে সফল এই ৬৭১ নাবিক পরবর্তী প্রশিক্ষণের জন্য অন্যান্য প্রশিক্ষণ স্কুলসমূহে গমন করবে বলে জানা গেছে।
এবি/এইচএন