জুলাই আন্দোলনে নিহত ব্যক্তির কলেজছাত্রী মেয়ের (১৮) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে রাজধানীর শেখেরটেক এলাকার বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত কলেজছাত্রীর গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর দুমকিতে। তিনি গত ১৮ মার্চ দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন।
আদাবর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কমল চন্দ্র ধর তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শেখেরটেকের একটি বাসা থেকে ওই কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তার মৃত্যুর ঘটনাটি আত্মহত্যাজনিত। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব হবে। পুলিশ পুরো ঘটনাটি নিবিড়ভাবে তদন্ত করছে।
তার বাবা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে পুলিশের গুলিতে নিহত হন।
এর আগে গত ১৮ মার্চ বাবার কবর জিয়ারত শেষে ফেরার পথে পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় ওই কলেজশিক্ষার্থী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন। পরদিন ওই ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়।
মামলার এজাহারে উপজেলার একটি ইউনিয়নের দুজনের নাম উল্লেখ করা হয়। মামলা হওয়ার দিন রাতে এজাহারভুক্ত ১৭ বছর বয়সী কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ২১ মার্চ অন্য আসামিকে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আদালতের মাধ্যমে তাদের যশোর শিশু সংশোধনাগারে পাঠানো হয়।
ওই কলেজশিক্ষার্থী দুমকিতে দাদির কাছে থাকতেন এবং উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
তার চাচা জানান, দুই দিন আগে চিকিৎসার জন্য মায়ের সঙ্গে তিনি ঢাকায় এসেছিলেন। তার মা দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে শেখেরটেক ছয় নম্বর রোডের একটি বাসায় ভাড়া থাকেন।
জুলাই ফাউন্ডেশন ও বিভিন্ন সংগঠনের সহযোগিতায় তাদের সংসার চলতো, জানান তিনি।
ওই শিক্ষার্থী মা বলেন, ধর্ষণের পর থেকে আমার মেয়ে হতাশায় ভুগছিল। মানসিক সমস্যার পাশাপাশি শারীরিক সমস্যাও ছিল। নিউরোসায়েন্সে (ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতাল) চিকিৎসা চলছিল। ও এ রকম পদক্ষেপ নিতে পারে কল্পনাও করিনি।
মেয়ের মৃত্যুতে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকেও সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
আমারবাঙলা/এমআরইউ