প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চীন সফরে দুদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ কীভাবে বাড়ানো যেতে পারে, সেদিকে এ সফরে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা আগামী ২৬ মার্চ চীন সফরে যাচ্ছেন। এটাই হবে তার প্রথম কোনো দেশে দ্বিপক্ষীয় সফর। সফরকালে অর্থনৈতিক সহযোগিতা ছাড়াও বিনিয়োগ, স্বাস্থ্যসেবা, পানি ব্যবস্থাপনা, রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরে কোনো চুক্তি সই হচ্ছে না। তবে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হবে।
ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন জানিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরে ঘোষণা আসতে পারে। কেননা এ বছর দুদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে। এ সফর ফলপ্রসূ ও গঠনমূলক হবে বলে প্রত্যাশা করছি।
তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর সামনে রেখে আমরা এখনো কাজ করছি। দুদেশ কীভাবে পারস্পরিক লাভবান হতে পারে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশকে একটা বৈশ্বিক ম্যানুফেকচারিং হাব (উৎপাদন কেন্দ্র) হিসেবে গড়ে তুলতে চায়। সে লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার সফরে চীনের কারখানাগুলোকে কীভাবে বাংলাদেশে স্থানান্তর করা যায়, সে বিষয়টি আলোচনায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাবে।’
প্রধান উপদেষ্টার সফরসূচি
প্রধান উপদেষ্টা আগামী ২৬ মার্চ চীনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন। তিনি ২৭ মার্চ চীনের হাইনান প্রদেশে বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া সম্মেলনে যোগ দেবেন। তিনি এ সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। ২৮ মার্চ প্রধান উপদেষ্টা বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি হুয়াওয়ের একটি উচ্চ প্রযুক্তির উদ্যোগ পরিদর্শন ও চীনের শীর্ষস্থানীয় একটি সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আগামী ২৯ মার্চ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দেবে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি সেখানে বক্তব্য দেবেন। এরপর ওইদিনই প্রধান উপদেষ্টা দেশে ফিরবেন।
আমারবাঙলা/জিজি