শত শত অস্পষ্ট সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বরের খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের দাবি, এসব লুকানো কৃষ্ণগহ্বরের প্রায় সবই গ্যাস ও ধুলার ঘন মেঘ দ্বারা আবৃত। আর তাই উন্নত ইনফ্রারেড প্রযুক্তির ব্যবহার করে এদের শনাক্ত করা হয়েছে।
এত দিন এসব কৃষ্ণগহ্বরের অস্তিত্ব তাত্ত্বিকভাবে ধারণা করা হতো। আর তাই নতুন এ আবিষ্কার মহাজাগতিক ঘটনা বিশেষ করে ছায়াপথের কাঠামোর বিবর্তনকে প্রভাবিত করার তথ্য জানার সুযোগ করে দেবে।
কৃষ্ণগহ্বরগুলো চিহ্নিত করতে নাসার ইনফ্রারেড অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল স্যাটেলাইট ও নিউক্লিয়ার স্পেকট্রোস্কোপিক টেলিস্কোপ অ্যারের তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা এসব যন্ত্রের মাধ্যমে শতাধিক সম্ভাব্য কৃষ্ণগহ্বর শনাক্ত করেছেন, যেগুলোর মধ্যে অনেক কৃষ্ণগহ্বরের তথ্য একেবারেই নতুন। দ্য অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে এসব কৃষ্ণগহ্বরের কথা বলা হয়েছে।
নতুন সন্ধান পাওয়া কৃষ্ণগহ্বরগুলো সূর্যের থেকে অন্তত এক লাখ বেশি ভরের বলে ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা। আগে অনুমান করা হতো, মহাবিশ্বের প্রায় ১৫ শতাংশ কৃষ্ণগহ্বরে লুকানো আছে। সম্প্রতি এই সংখ্যাটি ৩৫ শতাংশের কাছাকাছি বা তারও বেশি হতে পারে বলে ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের দাবি, কিছু কৃষ্ণগহ্বর চারপাশের ঘন উপাদানের কারণে শনাক্ত করা যায় না, যা দৃশ্যমান আলোকে অবরুদ্ধ করে রাখে।
নতুন কৃষ্ণগহ্বরগুলোর বিষয়ে বিজ্ঞানী পুশাক গান্ধী জানিয়েছেন, মিল্কিওয়ের মতো গ্যালাক্সিতে একটি সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোলের অনুপস্থিতির কারণে আরো বেশি নক্ষত্রের জন্ম দিতে পারে। এসব অদৃশ্য কৃষ্ণগহ্বর তারকা গঠন নিয়ন্ত্রণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন আর্কাইভে থাকা তথ্য ও উন্নত প্রযুক্তির সমন্বয়ে লুকানো কৃষ্ণগহ্বরের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে।
আমারবাঙলা/এমআরইউ