গত বছর ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে রেকর্ড সংখ্যক বাংলাদেশি আশ্রয় প্রার্থনা করেছিলেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট দেশগুলো খুব কম ক্ষেত্রেই তাদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছে।
সোমবার (৩ মার্চ) ইউরোপীয় ইউনিয়ন আশ্রয় সংস্থার প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত বছর মোট ৪৩ হাজার ২৩৬ জন বাংলাদেশি ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে আশ্রয় চেয়েছিলেন। ২০২৩ সালে এই সংখ্যা ছিল ৪০ হাজার ৩৩২ জন।
তবে, আশ্রয়প্রার্থী বৃদ্ধির কারণ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি।
গত বছর ইতালিতে সর্বাধিক ৩৩ হাজার ৪৫৫ বাংলাদেশি আশ্রয় চেয়েছিলেন। ২০২৩ সালে এই সংখ্যা ছিল ২৩ হাজার ৪৪৮ জন।
গত বছর ইতালিতে আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা ছিল মোট আবেদনকারীর ২১ শতাংশ।
বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্সে আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা অবশ্য কমেছে। ২০২৩ সালে আশ্রয়প্রার্থী ছিলেন ১০ হাজার ২১৫ জন। কিন্তু ২০২৪ সালে তা কমে হয় ছয় হাজার ৪২৯ জন।
গ্রিসে ২০২৩ সালে আবেদন করেছিল ৬৪০ বাংলাদেশি। গত বছর আবেদন করেছিল এক হাজার চার জন।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত বছর বাংলাদেশি আশ্রয়প্রার্থীদের প্রায় চার শতাংশকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে; যা মোট আবেদনকারীদের মধ্যে সর্বনিম্ন।
তবে, সিরিয়া থেকে আশ্রয়প্রার্থীদের মধ্যে ৯০ শতাংশকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। আর আফগানিস্তানের আবেদনকারীদের মধ্যে ৬৩ শতাংশকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর ইউরোপীয় ইউনিয়ন, নরওয়ে ও সুইজারল্যান্ডে ১০ লাখের বেশি লোক আশ্রয়ের আবেদন করে, যা আগের বছরের তুলনায় ১১ শতাংশ কম।
জার্মানিতে আবেদন করে দুই লাখ ৩৭ হাজার লোক, যা আগের বছরের তুলনায় ২৯ শতাংশ কম।
জার্মানির পর স্পেন, ইতালি ও ফ্রান্সের প্রতিটিতে এক লাখ ৬০ হাজার আশ্রয়প্রার্থী আবেদন করেছিল।
আমারবাঙলা/এমআরইউ