ইএসকেএল নামক বিতর্কিত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তথ্য পাচার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত লাখ লাখ বাংলাদেশী প্রবাসীর পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ। সংগঠনটির মালয়েশিয়া শাখার উদ্যোগে আজ বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে চারটি দাবী পেশ করা হয়।
সংগঠনটির সভাপতি শাহজাহান মিথুন বলেন, মালয়েশিয়ায় লাখ লাখ বাংলাদেশী শ্রমিকদের তথ্য পাচার করছে ইএসকেএল।
তিনি বলেন, শেখ পরিবারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এই প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সময়ে শ্রমিকদের ঠকিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। দিনের পর দিন শ্রমিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে। প্রবাসীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ডিসেম্বরে বর্তমান সরকারের পদক্ষেপে ইএসকেলের সঙ্গে চুক্তি বাতিল হয়। কিন্তু তাবিথ আওয়াল প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক হিসেবে যোগ দেওয়ার পর সেই সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়। শেখ পরিবারের প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত ইএসকেএল তাদের দুর্নীতি চালিয়ে নিতে নতুন কৌশল নিয়েছে।
তিনি বলেন, একজন রহস্যময় আমেরিকান নাগরিক তাবিথ আওয়াল এই কারসাজির সঙ্গে সরাসরি জড়িত। কোম্পানীটির মালিকানায় তাবিথ আওয়াল ছাড়াও রয়েছে শেখ পরিবারের লোকজন, নুরে আলম, নিক্সন চৌধুরী, শেখ রেহানা।
শাহজাহান মিথুন দাবি করেন, এই অনিয়মের সঙ্গে আরো জড়িত আছেন মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার খোরশেদ আলম খাস্তগীর, পররাষ্ট্র সচিব জসীমউদ্দিন ও গিয়াস উদ্দিন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ইএসকেএল এর লুটপাট ও দুর্নীতি চালিয়ে নিতে যত ষড়যন্ত্রই হোক, প্রবাসীরা তা রুখে দিতে প্রস্তুত। বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সরকারের কাছে চারটি দাবি তুলেছে। সেগুলো হলো- ১. ইএসকেএল- এর কার্যক্রম চিরতরে বন্ধ করতে হবে, ২. তাবিথ আওয়াল, খোরশেদ আলম খাস্তগীর, জসীমউদ্দিন ও গিয়াস উদ্দিনসহ জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে, ৩. মালয়েশিয়া হাইকমিশনের মাধ্যমে নিরাপদ ও স্বচ্ছ পাসপোর্ট সেবা নিশ্চিত করতে হবে ও ৪. মালয়েশিয়া হাইকমিশনে পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগ করে সেবার মান বাড়ানো হোক।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদের (মালয়শিয়া শাখা) সাধারণ সম্পদক এইচ এম হাসানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আমার বাংলা/ এসএ