সংগৃহীত
প্রবাস

আলোচনায় টিউলিপের পারিবারিক বন্ধু সালমানপুত্র শায়ান

আমার বাঙলা ডেস্ক

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয়। পরে ওই সরকারের সুবিধাভোগীদের দুর্নীতির খবর প্রকাশ হতে থাকে। শেখ হাসিনার ভাগনি এবং যুক্তরাজ্যের অর্থ ও নগরবিষয়ক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকও ওই সুবিধাভোগীদের তালিকায় আছেন- এমন খবর বের হচ্ছে। দুর্নীতি, সম্পদের তথ্য গোপন ও অর্থ আত্মসাতের একের পর এক অভিযোগে ব্যাপক চাপের মুখে রয়েছেন তিনি। টিউলিপের এ অবস্থার মধ্যে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন তার পারিবারিক বন্ধু, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিল্পবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের ছেলে শায়ান ফজলুর রহমান।

২০০৭ সালে ব্রিটিশ রাজার হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত দাতব্য সংস্থা ব্রিটিশ এশিয়ান ট্রাস্টের উপদেষ্টা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান তিনি। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সালমান ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে অনুসন্ধান করছে। এর মধ্যে গত আগস্টে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) সালমান, তার ছেলে শায়ান ও পুত্রবধূ শাজরেহ রহমানের ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে।

বাকিংহাম প্যালেসে এক নৈশভোজে শায়ানের প্রশংসা করে ব্রিটেনের রাজা চার্লস বলেছিলেন, ‘আমাদের সঙ্গে যারা কাজ করেন আমরা তাদের মতোই ভালো। তাই আমি আনন্দিত- বাংলাদেশে আমাদের নতুন প্রোগ্রামে শায়ান রহমান তত্ত্বাবধান এবং সমর্থন করবেন।’

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের ‘পারিবারিক বন্ধু’ শায়ান। তিনি বাংলাদেশের ‘ধনকুবের’ সালমান এফ রহমানের ছেলে। টিউলিপের খালা শেখ হাসিনা লন্ডনে গেলে শায়ানের ১৩ লাখ পাউন্ডের (প্রায় ২০ কোটি টাকা) বাড়িতে ‘বিনাভাড়ায়’ থাকতেন।

দারিদ্র্য দূরীকরণের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় ব্রিটিশ এশিয়ান ট্রাস্টের উপদেষ্টা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান তিনি। এক সময় তিনি তাদের পারিবারিক নিয়ন্ত্রণে থাকা বেক্সিমকো গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন। শায়ান আইএফআইসি ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর ব্যাংকের বোর্ড পুনর্গঠনে তিনি পরিচালক পদও হারান।

এদিকে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পরও ব্রিটিশ এশিয়ান ট্রাস্টের ওয়েবসাইটে তার সেই পরিচয়ই দেখানো হচ্ছে।

এক বিবৃতিতে ব্রিটিশ এশিয়ান ট্রাস্ট বলেছে, ‘আমরা শায়ানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে অবগত। আমরা বাংলাদেশের ঘটনাপ্রবাহের দিকে নজর রাখছি।’

শায়ানের এক মুখপাত্র বলেন, ‘যুক্তরাজ্যে শায়ানের জন্ম। এই সূত্রে তিনি একজন ব্রিটিশ নাগরিক ও আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী। তিনি কিংবা তার স্ত্রী কখনো কোনো অপরাধে অভিযুক্ত হননি। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সম্পৃক্ততার কারণে অন্য ৩০০ জনের সঙ্গে কেবল বাংলাদেশেই তাদের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে। এটি পুরোপুরি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পদক্ষেপ।’

ব্রিটিশ এশিয়ান ট্রাস্টে শায়ান আড়াই লাখ পাউন্ড অনুদান দিয়েছেন বলে ধারণা করা হয়। সম্প্রতি সানডে টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের অর্থ পাচার নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সেই অনুদানের প্রসঙ্গ তোলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শায়ানের ‘দানশীলতা’ নিয়ে তিনি রসিকতাও করেন।

আমারবাঙলা/এমআরইউ

Copyright © Amarbangla
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

ফরচুন বরিশালের থিম সং করে আলোচনায় সোহেল রাজ

বিপিএল এর এবারের আসরে অন্যতম দল ফরচুন বরিশাল। তামিম ইকবালের নেতৃত্বে দলটির পা...

সংসদ দ্বিকক্ষবিশিষ্ট হবে, আসন ৫০৫

জাতীয় সংসদ দ্বিকক্ষবিশিষ্ট করার সুপারিশ করতে যাচ্ছ...

লেবাননের প্রধানমন্ত্রী হলেন আইসিজের প্রেসিডেন্ট নাওয়াফ সালাম

জাতিসংঘের অন্যতম অঙ্গসংগঠন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত...

নাইজেরিয়ায় সশস্ত্র হামলায় ৪০ কৃষক নিহত

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় সশস্ত্র গোষ্ঠীর হাম...

নারকেলের ছোবড়া বদলে দিচ্ছে লক্ষ্মীপুরের অর্থনীতি

নারকেলের ছোবড়া ফেলে দেন অনেকে। আবার কেউ কেউ জ্বালা...

গাজায় একদিনে নিহত ৬১, মোট নিহত ছাড়াল ৪৬ হাজার ৬৪০

ইসরায়েলের বিমান ও স্থল বাহিনীর হামলায় ফিলিস্তিনের...

মধ্যরাতে সেন্টমার্টিনে আগুনে পুড়ল একাধিক রিসোর্ট 

প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কয়েকটি...

বলিউডের সঙ্গে কেন দূরত্ব বেড়েছে নার্গিসের

বেশ কয়েক বছর ধরে বলিউড ইন্ডাস্ট্রির আশপাশে দেখা যা...

প্রথমবারের মতো সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে মামলা

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে হামলা...

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার দণ্ড থেকে খালাস খালেদা জিয়া

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের সা...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
খেলা