আইন ও প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের বক্তব্য এবং অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যকর উদ্যোগে অবৈধ হওয়ার ঝুঁকি থেকে রেহাই পেতে যাচ্ছেন মালয়েশিয়ায় বসবাস করা প্রায় ২৮ হাজারের বেশি রেমিট্যান্স যোদ্ধা। সরকারের এমন সিদ্ধান্তে খুশি প্রবাসী বাংলাদেশীরা।
এদিকে, দীর্ঘ জটিলতা ও দুর্নীতির দায়ে ইএসকেএল এর সাথে চুক্তি বাতিলের পর অবশেষে প্রানচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে। অতিদ্রুত প্রবাসীদের হাতে পাসপোর্ট পৌঁছে দিতে পোস্ট অফিসের পাশাপাশি সরাসরি পাসপোর্ট জমা ও প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে পাসপোর্ট ও ভিসা উইং। এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে মালয়েশিয়াস্থ প্রবাসী বাংলাদেশীরা।
গত ২৮ অক্টোবর বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের এমআরপি পাসপোর্টের আবেদন গ্রহণ ও বিতরণ বন্ধের ঘোষণা দেয় পাসপোর্ট অধিদপ্তর। এতে মালয়েশিয়ায় থাকা অন্তত ২৮ হাজার প্রবাসীর এমআরপি আবেদন আটকা পড়ে। এমনকি তথ্য জটিলতায় ই-পাসপোর্টের আবেদনও করতে পারছিলেন না অনেকে।
এ অবস্থায় বৈধতা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েন মালয়েশিয়া থাকা হাজার হাজার প্রবাসী। দ্রুত সংকট নিরসনে জানানো হয় জোর দাবি। অবশেষে দেড় মাসের মধ্যেই এই সংকট নিরসন করলো অন্তর্বর্তী সরকার । ১৫ ডিসেম্বর থেকে এমআরপি পাসপোর্ট দেয়ার কথা জানিয়েছেন আইন ও প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। আগামী ২ থেকে ৩ বছর এই সংকট হবে না বলেও আশ্বাস দেন তিনি। এই কার্যক্রমে অগ্রাধিকারের তালিকায় নাম আছে মালয়েশিয়ার।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাউন্সেলর মিয়া মোহাম্মাদ কেয়ামউদ্দিন বলেন, ‘যে ২৮ হাজার ৪শ ১৬ টা পাসপোর্ট পেন্ডিং রয়েছে আমরা আশা করছি এই মাস শেষ হবার আগেই আমরা সব পাসপোর্ট ডেলিভারি করতে পারব।’
অন্তর্বর্তী সরকারের এমন উদ্যোগে অবৈধ হয়ে দেশে ফেরার ঝুঁকি থেকে মুক্তি পাওয়ায় খুশি মালয়েশিয়ায় থাকা প্রবাসীরা।
আমার বাঙলা/ এসএ