গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে চলে যান। তার সরকারের পতনের পর থেকেই আত্মগোপনে রয়েছেন আওয়ামী লীগের বড় নেতারা। আত্মগোপনে আছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদও।
রবিবার (৩ নভেম্বর) যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক ‘চ্যানেল এস’ টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগের বড় রাজনৈতিক ভুল কী ছিল সে বিষয়ে কথা বলেছেন হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে না পারা আওয়ামী লীগের বড় রাজনৈতিক ভুল ছিল।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি অবশ্যই সব সময় নির্বাচন বর্জন ও প্রতিহত করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু যেহেতু আমরা দায়িত্বে ছিলাম আমাদের এ জায়গায় ব্যর্থতা ছিল, বিএনপিকে আমরা একোমডেট করে নির্বাচনে আনতে ব্যর্থ হয়েছি।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি সব সময় আমাদের ব্যর্থ করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু সেটি আমাদেরও ব্যর্থতা। এটি আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি। এটি আমার দলীয় বক্তব্য নয়।
তিনি বলেন, দেশের ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে’ প্রয়োজন হলে বিএনপির সঙ্গে একযোগে কাজ করার বিষয়ে আওয়ামী লীগ প্রস্তুত। বিএনপি যে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কথা বলছে, একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলছে, সেটির সঙ্গে আমরা একমত এবং প্রয়োজনে বিএনপির সঙ্গে একযোগে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আমরা কাজ করব।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং মহাসচিবসহ তাদের শীর্ষ নেতারা যে বক্তব্য দিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করে জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা- এই বক্তব্যের সঙ্গে আমি পুরোপুরি একমত। এ ছাড়া প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ প্রশ্ন থেকে শুরু করে দেশে যাতে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি না হয়, এ ব্যাপারে বিএনপির অবস্থানকেও সাধুবাদ জানাই।
তিনি বলেন, কোনো সরকারই কিন্তু শেষ সরকার নয়, মনে রাখতে হবে; আমাদের ক্ষেত্রে আমরাও শেষ সরকার ছিলাম না।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের আগে যেটি বেশি দরকার, সেটি হচ্ছে এবং রাষ্ট্র সংস্কারের মূল দায়িত্বটি হচ্ছে জনপ্রতিনিধিদের, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব বলেছেন, আমি তার সঙ্গে শতভাগ একমত। আমি মনে করি নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমেই রাষ্ট্র সংস্কার হওয়া প্রয়োজন। রাষ্ট্র সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, সেই প্রক্রিয়া তিন মাস, ছয় মাস, তিন বছরে শেষ হয়ে যায়, তা নয়।
আমারবাঙলা/এমআরইউ