নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের অর্থনৈতিক দুরবস্থার কথা উল্লেখ করে, সরকারের ব্যর্থতার কঠোর সমালোচনা করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। তিনি বলেছেন, দেশের অর্থনীতি তথা আর্থিক খাত শূন্যে ঝুলছে, যে কোনো সময় ক্র্যাশল্যান্ডিং হতে পারে।
অনিয়ম, অপচয়, দুর্নীতি আর মূল্যবৃদ্ধিতে জনজীবনে যে হতাশা, অশান্তি ও নৈরাজ্য নেমে এসেছে সেটিকে সরকার কার্পেটের নিচে ঢেকে রাখতে চায় বলেও মন্তব্য করেন রিজভী আহমেদ। সরকার বিক্ষোভ- প্রতিবাদকে স্তব্ধ করতে জুলুমের মাত্রা তীব্রতর করছে বলেও দাবি করেন তিনি।
সোমবার (২০ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির এ নেতা বলেন, দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ এখন কারাগারে। আর টেন্ডারবাজ, তদবিরবাজ, ধোকাবাজ, সিন্ডিকেটবাজ, চাঁদাবাজ ও ঋণখেলাপিদের দৌরাত্ম্য এখন চরমে।
রিজভী বলেন, শীর্ষ ব্যবসায়ী কোনো অনুমতি না নিয়ে বিদেশে অর্থ সরিয়ে বিনিয়োগ করতে পারে। নিয়ম-নীতি না মেনে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকিং খাতে এখন চরম অব্যবস্থাপনা। ঋণখেলাপির পরিমাণ এতটাই বেড়েছে যে, দেশের আর্থিক খাত এখন শূন্যে ঝুলছে। যে কোনো সময় ভয়ঙ্কর ক্র্যাশল্যান্ডিং হতে পারে। এ কারণেই মিথ্যা আর বিভ্রান্তি আওয়ামী লীগ নেতাদের এখন নিত্যসঙ্গী।
তিনি বলেন, মানুষের মনোযোগ অন্যদিকে নিতে ও বিভ্রান্ত করতে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে অবিরাম বক্তব্য-বিবৃতি দেওয়া হচ্ছে। অথচ বিরোধী নেতাদের প্রতি রীতি ও শালীনতা উপেক্ষা করে চলছে বিষোদ্গার। যেন বিরোধী দলের কথা বলা ও স্বাধীন মত প্রকাশ আওয়ামী নীতি-বিরুদ্ধ।
বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, গোটা দেশকে কাঁটাতারের বেড়ায় ঘিরে রাখার পরও জুলুমের পরিধি বিস্তৃত করা হচ্ছে প্রতিদিন। ডামি সরকার কারগারকে বিরোধী নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে চিরস্থায়ী করতে চাচ্ছে। রাষ্ট্রীয় পেশীশক্তির জোরে চলছে বিরোধী দল দমনের কর্মসূচি। তারপরও টলানো যায়নি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতাকর্মীদের দৃঢ় অঙ্গীকার।
তিনি বলেন, দখলদার সরকার কণ্ঠের স্বাধীনতা হরণ করতে অক্লান্ত চেষ্টা করছে। তারপরও জেগে উঠছে বাংলাদেশ। মানুষের ক্ষোভের আগুনে ফ্যাসিবাদ পুড়ে ছাই হয়ে যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, মহানগর দক্ষিণের নেতা নবী উল্লাহ নবী, কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম ও সহ-দপ্তর সম্পাদক মুহাম্মদ মনির হোসেন প্রমুখ ছিলেন।
এবি/এইচএন