নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ বিরোধীদল দমনে বিশ্বাস করে না। তবে সন্ত্রাসীদের কোনো ছাড় নেই। সে যে দলেরই হোক, সন্ত্রাসীদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নির্বাচন বিরোধী অবস্থান নেয়ায় আওয়ামী লীগকেও কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করতে হয়েছে। তাই আওয়ামী লীগ এবার দলীয় প্রতীক বরাদ্দ দিচ্ছে না।
তিনি বলেন, দল ও দলের বাইরে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি যাতে নির্বাচিত হয়, সেটাই আওয়ামী লীগ প্রত্যাশা করে।
এ বিবৃতিতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী, এমপি ও দলীয় নেতৃবৃন্দ যাতে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করতে না পারে, সেজন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কঠোর সাংগঠনিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রথম ধাপের নির্বাচন উপলক্ষে সারা দেশে প্রার্থীদের ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা ও জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ পরিলক্ষিত হচ্ছে। জনগণ যখন নির্বাচনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করছে, বিএনপি তখন বরাবরের ন্যায় দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
তারা নির্বাচনী ব্যবস্থাকে বাধ্যগ্রস্ত ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করতে চায়। আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ব্যবস্থা ও গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে নিরন্তন সংগ্রাম চালিয়ে আসছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিএনপির গণতন্ত্র বিরোধী অপতৎপরতা সম্পর্কে সকলকে সচেতন ও সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলসহ দলটির নেতারা লাগাতারভাবে মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন। প্রকৃতপক্ষে, গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের প্রতি তাদের কোনো শ্রদ্ধা নেই।
একদিকে তারা আগুন সন্ত্রাসীদের লালন করছে, অপরদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বিরোধীদল দমনের মিথ্যা অভিযোগ উপস্থাপন করছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে গণতন্ত্র ও নির্বাচন বানচালের নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে মেতে উঠেছিল বিএনপি। ইতিপূর্বে ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি সারা দেশে ভয়াবহ অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়ে শত শত নিরীহ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করেছে।
তাদের এ সম্মিলিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বিএনপি নেতারা বিরোধী দল দমনের কথা বলে।
তিনি আরও বলেন, সরকার বেপরোয়াভাবে কাউকে কারাগারে পাঠাচ্ছে না। বরং সন্ত্রাস ও সহিংসতার অভিযোগে অভিযুক্তরা আইন ও আদালতের মুখোমুখি হচ্ছে ও জামিনে মুক্তিও পাচ্ছে।
যারা নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, জনগণের জানমালের ক্ষতি করেছে, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে, সেসব সন্ত্রাসী ও তাদের গডফাদারদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা ও মহামান্য আদালত যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়। সে কারণে তারা বিরোধী দল দমনের মিথ্যা অভিযোগ তুলে সন্ত্রাসীদের সুরক্ষা দেয়ার অপচেষ্টা করছে। তারা উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তিকর ও রাজনৈতিক শিষ্ঠাচার বর্হিভূত বক্তব্য প্রদান করছে।
আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির বিকাশে বদ্ধপরিকর। জনগণের ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠা করতে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্তরের নির্বাচনের গুরুত্ব অপরিসীম।
তিনি আরও বলেন, অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি বরাবরের মতো নির্বাচন ও দেশের গণতন্ত্র বিরোধী অবস্থান নিয়েছে। সে কারণে জনগণ তাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
এবি/এইচএন