নিজস্ব প্রতিবেদক: গণমাধ্যমে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান সাথে বিএনএম-এ যোগ দেওয়ার যে ছবি ও সংবাদ প্রচার হয়েছে, সে প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এটা তো গোপন কিছু নয়। আমাকে প্রস্তাব দিয়েছিল, আমি গ্রহণ করিনি। সাকিব আল হাসান দেশের গৌরব, তিনি এখানে কিছু করতে পারেননি, পরে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর বনানীতে তার নিজ বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
হাফিজ বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই। বর্তমানে দেশে নোংরা রাজনীতি বিরাজমান। নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে অনেক নোংরা খেলা হয়ে থাকে। বিশেষ করে যে দল সরকারে থাকে, তারাই এ খেলা খেলে। রাজনীতিতে শর্টকার্ট বলতে কিছু নেই। সাধারণ মানুষের সঙ্গ ছাড়া রাজনীতিতে টিকে থাকা যায় না।
তিনি বলেন, সরকারের পক্ষে যারা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে তাদের বলেছি, ৩২ বছরের রাজনীতিক জীবনে দল পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। আমি রাজনীতি থেকে অবসর নিতে চাই। সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশে আমার কাছে সামরিক বাহিনীর কয়েকজন বারবার অফার নিয়ে আসেন। সামরিক বাহিনীর কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত সদস্য সাকিব আল হাসানকে আমার কাছে নিয়ে আসেন। আমি তখন বলি, তুমি বিশ্বমানের খেলোয়াড়। তুমি রাজনীতি করবে কি না সেটি তোমার ব্যাপার। সাকিব তার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নির্বাচনে আগে সাবেক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ঘোষণা দিলেন আমি বিএনএম পার্টিতে যোগ দেবো-ওই মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে আমি তখনও সংবাদ সম্মেলন করেছিলাম।
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, আমি বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নির্বাচনের আগেই বলেছি-যারা অফার নিয়ে এসেছিল, তাদেরকেও বলেছি, এই বয়সে রাজনৈতিক দল পরিবর্তন করতে পারবো না। আমার রাজনৈতিক কোনো বিলাস নেই। আমি নির্বাচন কমিশনে কাউকে পাঠাইনি। বিএনপির অনেক সংসদ সদস্য যোগযোগ করেছিল, আমি তাদেরকে নিরস্ত্র করেছি। বিএনএমের অনেকে অভিযোগ করে বলেছেন, আমি নাকি তালবাহনা করেছি।
তিনি অভিযোগ করেন, আমার মনে হয় সরকার নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্যই আমার বিরুদ্ধে এসব করেছে। আমি সরকারের শেষ সময়ে বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলাম। আমি খেজুরের বদলে বরই খেতে বলিনি। সিন্ডিকেট করতে দেইনি। আমি বাবার দেওয়া বাড়িতে থাকি। আমার বিরুদ্ধে দুদকে কোনো অভিযোগও নেই। আমি তো বিএনএম-এ যোগ দেইনি, তাহলে কী দোষ আমার? আমার বিরুদ্ধে এসব কিছু না করার জন্য সবার প্রতি বিনীত অনুরোধ জানাই।
এবি/এইচএন