নিজস্ব প্রতিবেদক: শেখ হাসিনা এই সংসদের কফিনে পেরেক মেরে দিয়েছেন উল্লেখ করে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, জনগণের গণতন্ত্রের সব কিছু নস্যাৎ করে দিয়েছেন। অপরদিকে বেগম জিয়া মানেই বাংলাদেশের মানুষের কাছে একটা স্বপ্ন। এত অসুস্থতা নিয়েও তিনি (খালেদা জিয়া) লড়াই করে যাচ্ছেন। সরকার তাকেও ছাড়ছে না।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলন আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুলসহ অনেক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে উল্লেখ করে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, গত পরশুদিন শুনেছি সরকার নাকি তাদেরকে ছেড়ে দেবে কিন্তু গতকালকে মির্জা ফখরুলের জামিন হয়নি। ২৮ অক্টোবরের দিন প্রধান বিচারপতির বাসভবনের গেইটে মির্জা ফখরুলের কোনো ছবি আছে? আমির খসরু মাহমুদের কোনো ছবি আছে? সেখানেতো বিএনপির কোনো লোক যায়নি। বিএনপির লোক মিটিং করেছে সেই ফকিরাপুলে আর বিচারপতির বাসভবন হলো কাকরাইল মোড়ে।
জাতিসংঘ বিবৃতি দিয়েছে, ২৮ অক্টোবরের এই সন্ত্রাস সরকারি দল করেছে। সরকার তখন তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেছে আপনারা এটা কীভাবে জানলেন? তখন জাতিসংঘ বলেছে, আমরা স্যাটেলাইট ক্যামেরার মাধ্যমে সবকিছু দেখেছি।
মান্না বলেন, একটা লোকও আওয়ামী লীগকে দেখতে পারে না। ৭ তারিখের নির্বাচন করে আওয়ামী লীগের নেতা থেকে শুরু করে মন্ত্রী পর্যন্ত যারা আছে তাদের সম্মান বলতে কিছুই নেই। এরা সবাই ‘ফোট্টুয়ান্টি’, প্রতারক। এ দলের লোকজন আগের মতো গরম গরম ভাব দেখাচ্ছে না। তাদের লোক এখন শান্তিতে নাই। তাদের মুখ শুকিয়ে গেছে।
আওয়ামী লীগের দিন বড় খারাপ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এখন নিজেরাই বুঝতে পারছে না তারা কয়দিন ক্ষমতায় থাকবে। এর কারণ হলো, তিন মাস পরে পেঁয়াজ, ডাল এগুলো কেনার যদি টাকা না থাকে, চাকরিজীবীদের বেতন দেওয়ার মতো টাকা যদি না থাকে তাহলে এ সরকার থাকবে কেমন করে? এ সরকার যতদিন পর্যন্ত যাবে না ততদিন পর্যন্ত আন্দোলন চলতে থাকবে।
বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক এম জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার মোফাজ্জল হোসেন হৃদয়ের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ, বিলকিস ইসলাম, তাঁতি দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মনিরুজ্জামান মনির, কৃষকদলের যুগ্ম সম্পাদক শাহ আব্দুল্লাহ আল বাকি, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহীদুল ইসলাম, কৃষক দল নেতা মফিজুর রহমান লিটন, কাদের সিদ্দিকী, শফিকুল ইসলাম সবুজ, তোফায়েল হোসেন, আবুল হোসেন, রিয়াজ উদ্দিন, আফজাল হোসেন মৃধা, অহিদুল ইসলাম, ওবায়দুর রহমান, পাবনা জেলা বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর মিয়া, যুব জাগপার নেতা আমির হোসেন আমু, ছাত্রদল নেতা মাইনুল ইসলাম রুবেল, ইলিয়াছ আহমেদ প্রমুখ।
এবি/এইচএন