নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, দেশকে গণতন্ত্রহীন করার জন্য ৭ জানুয়ারির অগ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মধ্য দিয়ে লুটপাটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মানুষ বলা শুরু করেছে, যে সংবিধানের দোহাই দিচ্ছে সরকার, নিজেরাই তা মানে না। কারণ হলো এখন সংসদের ৬০০ জন সদস্য।
ফারুক বলেন, ২৯ জানুয়ারি এই সরকারের এমপিদের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা কিন্তু আওয়ামী লীগ সংবিধান লঙ্ঘন করে আরও ৩০০ জন এমপিকে শপথ করিয়ে নিয়েছে।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র ফোরাম আয়োজিত বেগম খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জাতীয় নেতাদের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অতীতেও এই আওয়ামী লীগ সংবিধান লঙ্ঘন করে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করেছে, সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দিয়েছে। ভোটবিহীন এই সরকার বারবার ক্ষমতায় এসে নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশে ২২শ পরিবারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছিলাম এখন আওয়ামী লীগ ২ লাখ পরিবার সৃষ্টি করেছে। গরিবের টাকা লুট করে বেগমপাড়া বানিয়েছে। তরল মানির অভাব ব্যাংকগুলোকে দেউলিয়া করে ফেলেছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার গণতান্ত্রিক আন্দোলনের শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করার হীন প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ১৪, ১৮ এর মতো ২০২৪ সালেও আরেকটি নির্বাচন করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না। নেতাকর্মীদের নির্যাতন করে মামলা দিয়ে গুম করে খুন করে আন্দোলন দমাতে পারে নাই। রাষ্ট্রীয় যন্ত্রের ব্যবহার করে আমাদেরকে দমন করে রেখেছে। জনগণ জেগেছে জনগণের অধিকার জনগণই আদায় করে নেবে। পৃথিবীর ইতিহাসে নাই কোনো স্বৈরাচার দীর্ঘদিন থাকতে পারে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, শহীদ জিয়ার দল স্বাধীনতা এনেছে। গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন মরণ লড়াই করে যাবে বিএনপি। খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, আমির খসরুবে মুক্তি দিতে হবে। আবারও প্রস্তুত হন, সব ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে রাস্তায় থাকবো, গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে যাবো।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি খলিলুর রহমান। গণতন্ত্র ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান টিপুর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন নিএনপির শিশুবিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, সহ তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, গণতন্ত্র ফোরামের নেতা ইসমাইল হোসেন সিরাজী, কাজী মনির, আব্দুল্লাহ আল নাঈম প্রমুখ।
এবি/এইচএন