জেলা প্রতিনিধি: জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম -১ (নাগেশ্বরী-ভূরুঙ্গামারী) আসনের জাকের পার্টির প্রার্থী আব্দুল হাই মাস্টারের একটি পথসভায় হামলার অভিযোগ উঠেছে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
শনিবার রাত ৮টার দিকে নাগেশ্বরী উপজেলার হাসনাবাদ ইউনিয়নের হাসনাবাদ আদর্শ জনতা বিদ্যাবিতান উচ্চবিদ্যালয়ে একটি পথসভার আয়োজন করে জাকের পার্টি। এ সভায় জাকের পার্টির প্রার্থী আব্দুল হাই মাস্টার বক্তব্য দেয়ার সময় জাতীয় পার্টির বেশ কিছু নেতা মিছিল নিয়ে সভায় হামলা করে বলে অভিযোগ প্রার্থীর। তবে এ হামলায় কেউ আহত হননি।
জাকের পার্টির প্রার্থী আব্দুল হাই মাস্টার জানান, পূর্বনির্ধারিত পথসভায় যখন তিনি বক্তব্য দিচ্ছিলেন তখন জাতীয় পার্টির কিছু সংখ্যক নেতাকর্মীর একটি মোটরসাইকেল শোডাউন নিয়ে সভাস্থলে আসে এবং উচ্চবাচ্য কথা শুরু করে। তারা আমার সভা বন্ধ করতে হুমকি দেন। এক পর্যায়ে তারা জাকের পার্টির সমর্থকদের ওপর চড়াও হন এবং সভাস্থলের চেয়ার-ছোড়াছুড়ি করতে থাকেন। কোন কারণ ছাড়াই অতর্কিত হামলায় আমরা হতভম্ব হয়ে পরি। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিরোধ করলে তারা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে আমি জানতে পারি আমার পথসভা বন্ধ করতে তারা দুপুর থেকে পরিকল্পনা করেন। তারা ভোটের পরিবেশ খারাপ করার পায়তারা করছেন। যাতে আমার ভোটাররা ভয়ে ভোট দিতে না যায়। এ বিষয়ে নাগেশ্বরী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি এ ছাড়া রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি।
জাতীয় পার্টির নাগেশ্বরী উপজেলার সদস্য সচীব আ প ম আনিসুর রহমান জানান, বিষয়টি সম্পর্কে আমি ভালো বলতে পারব না। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ ভালো বলতে পারবে।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমি ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বাবুরহাটে গণসংযোগে ছিলাম। কি ঘটেছে এখন পর্যন্ত আমি ভালোভাবে জানি না। বিষয়টি জেনে পরবর্তীতে আপনাদের জানাতে পারব।
নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুপ কুমার সরকার জানান, জাকের পার্টির প্রার্থী আব্দুল হাই মাস্টার রাতে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। প্রয়োজন হলে আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে বিষয়টি তদন্ত করা হবে। অপর দিকে নির্বাচনী পরিবেশ ঠিক রাখতে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে সার্বক্ষণিক কাজ করছে।
উল্লেখ্য, এ আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছাড় দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এখানে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে জাতীয় পার্টি ও জাকের পার্টির প্রার্থীর মধ্যে।
এবি/এইচএন