সংগৃহীত
রাজনীতি

টানা ৩ দিন সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশে পুলিশি বাধা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রেফতারের প্রতিবাদ এবং সরকারের পদত্যাগের ‘একদফা’ দাবিতে টানা ৩ দিনের সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।

আগামী মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) থেকে বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) পর্যন্ত এ কর্মসূচির মধ্যে সড়ক, রেল ও নৌপথও অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলে জানিয়েছে দলটি।

রোববার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, দেশে চলমান বিচারহীনতা, অপশাসন, সীমাহীন দুর্নীতি, অনাচার, অর্থপাচার ও সিন্ডিকেট বাজির ফলে দ্রব্যমূল্যের অব্যাহত ঊর্ধ্বগতিতে বিপর্যস্ত জনগণের জীবন-জীবিকা রক্ষার স্বার্থে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার ‘একদফা’ দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আয়োজিত গতকালের মহাসমাবেশে হামলা, নেতাকর্মীদের হত্যা, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আন্দোলনরত বিভিন্ন দলের সহস্রাধিক নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, বাড়ি-বাড়ি তল্লাশি হয়রানি ও নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং ‘একদফা’ আদায়ে এ কর্মসূচি পালন করা হবে।

বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গী গণতন্ত্রমঞ্চের নেতা সাইফুল হক জানান, বিএনপি ও আমরা আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগামীকাল গ্যাপ দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালন করব। সড়ক, রেল ও নৌ-পথ এ কর্মসূচির আওতায় থাকবে।

এর আগে শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীতে বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও জামায়াতে ইসলামী সমাবেশ করে। এ দিন দুপুরের পর কাকরাইল এলাকায় বিএনপির সমাবেশে আসা লোকজনের সাথে আওয়ামী লীগের সমাবেশগামী লোকজনের সংঘর্ষ হয়।

এছাড়া প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় ছবি তুলতে যাওয়া অনেক সাংবাদিককে তখন মারধর করা হয়। সেই সাথে একদল যুবক কাকরাইলের আইডিইবি ভবনে ঢুকে কয়েকটি মাইক্রোবাসে আগুন লাগিয়ে দেয়।

পরে পুলিশ বড় ধরনের অ্যাকশনে যায়। তারা সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল ছুড়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার এক পর্যায়ে ধাওয়া দিয়ে নয়াপল্টনের মহাসমাবেশও পণ্ড করে দেয়।

বিএনপির নেতাকর্মীরা ধাওয়া খেয়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়েন। এ সময় নয়াপল্টন, পুরানা পল্টন মোড় ও আশপাশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি-পুলিশ-আওয়ামী লীগের সংঘর্ষ হয়।

এতে বিএনপির বহু নেতাকর্মীসহ অনেক পুলিশ সদস্য ও সাংবাদিকরাও আহত হন। এছাড়া নয়াপল্টন এলাকায় এক পুলিশ সদস্যকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় এবং আরও এক পুলিশ সদস্যকে লাঠি দিয়ে গণপিটিুনি দেওয়া হয়। এ সময় মাথায় হেলমেট থাকায় তিনি প্রাণে বেঁচে যান।

এ দিন সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ৫ টি বাসে আগুন দেওয়া হয়। এছাড়া রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালিয়ে কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ সময় পুলিশ হাসপাতালের সামনে ১ ব্যক্তি নিহত হন। বিএনপির দাবি, তিনি তাদের কর্মী।

রাজধানীর এসব ঘটনার আঁচ লাগে অন্যান্য জেলাতেও। এ দিন রাতে সাভার, গাজীপুর ও মুন্সীগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।

এবি/এইচএন

Copyright © Amarbangla
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

বিজয়কে ব্যর্থ করতে ষড়যন্ত্র করছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে ফ্যাসিজমের অনেক...

দেশ ছেড়েছেন তামিম

স্পোর্টস ডেস্ক : ভারতে টেস্ট সিরিজ খেলতে পাড়ি জমিয়েছে বাংলাদ...

বাংলাদেশের সঙ্গে স্থিতিশীল সম্পর্ক চাই

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে স্থিতিশীল সম্পর্ক...

নিবন্ধন পেল সাকির গণসংহতি আন্দোলন

নিজস্ব প্রতিবেদক : মো. জোনায়েদ সাকির দল গণসংহতি আন্দোলন রাজন...

শ্রমিকদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাভারের আশুলিয়ায় পোশাক কারখানার শ্রমিকদে...

আগামী শুক্রবার থেকে চলবে মেট্রোরেল

নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী ২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার থেকে নিয়মিত...

সাবেক ৩ সিইসির বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবু...

কর্মস্থলে না ফেরা পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক : এখনও পুলিশের যেসব সদস্য কাজে যোগদান করেনন...

ফরিদপুরে ৫ জনের যাবজ্জীবন

জেলা প্রতিনিধি : ফরিদপুরে সাদ্দাম শেখকে (২১) হত্যার দায়ে ৫ জ...

এখন থেকে প্রকল্পের তথ্য ওপেন থাকবে

নিজস্ব প্রতিবেদক : এখন থেকে প্রকল্পের সব তথ্য ওপেন থাকবে। শু...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
খেলা