বি. খন্দকার: অসুস্থ রাজনীতি ও প্রচার আর দেখতে চাইনা। রাজনৈতিক স্বার্থে যারা মানুষের পেটে লাথি দেয়, যারা অন্যের মুখের খাবার ছিনিয়ে নেয় আল্লাহ যেন তাদের চৌদ্দ গোষ্ঠির রিজিক ফিরিয়ে নেয়!
বাংলাদেশে চলমান নোংরা, সস্তা আর জঘন্য রাজনীতি পৃথিবীতে আর কোথাও হয়না। কয়জন শিক্ষিত সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তানদেরকে রাজপথে পাবেন? বেশির ভাগই হচ্ছে নিজ স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে রাজনীতি করছেন। তাদের কাছে রাজনীতি মানেই ব্যবসা, এছাড়া আর কিছুই না।
এরা স্বার্থের জন্য নেতাকে খুশি রাখতে প্রয়োজনে নিজের বিবাহিত স্ত্রীকে রাত কাটাতে দিতে দ্বিধাবোধ করে না। এমন পা চাটা গোলামদের কারণে দেশে আজকের এই ভয়ানক পরিস্থিতি।
গত ২৮ অক্টোবর দেখতে পেলাম, রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশ সদস্যের লাশ পরে আছে আর মানুষ লিখছে আলহামদুলিল্লাহ!!
পুলিশ সদস্যরা তার পেটের তাগিদে ডিউটি পালন করছেন। পুলিশকে সরকার বেতন দেয়, যদি সরকার অর্ডার করে সিভিলিয়ানদের ওপর গুলি চালাতে তখন শুধু চাকরি বাঁচাতে নয়, নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করা ছাড়া তাদের আর কোনো উপায় থাকেনা।
শনিবার রাজধানীতে একজন পুলিশ সদস্যকে নিহত হলেন। আর মানুষের খুশি দেখে আমি অবাক! অথচ বিপদে পড়লে সবার আগে পুলিশের কাছেই আমাদের যেতে হয়।
আরে মূর্খের দল কবে হুশ জ্ঞান হবে যে, পুলিশ জনগণের বন্ধু যেহেতু সরকারি চাকরি করে তাই সরকারের হুকুম মানতে বাধ্য। এছাড়া কিছু না, কারোরই মৃত্যুতে আলহামদুলিল্লাহ বলে ধর্মকে আর ছোট করিয়েন না।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যবহৃত আমার ব্যক্তিগত আইডি থেকে আমি কয়েকজনকে আনফ্রেন্ড করেছি। সামনে আরো করবো, আমার চোখের সামনে এসব অসুস্থ রাজনৈতিক প্রচার আর দেখতে চাইনা!
লেখক : অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী
প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি- ইউনাইটেড গ্লোরি অব বাংলাদেশ (ইউজিবি)
এবি/এইচএন