আমার বাঙলা ডেস্ক: আজকের ঘটনা কাল অতীত। প্রত্যেকটি অতীত সময়ের স্রোতে এক সময় হয়ে উঠে ইতিহাস। পৃথিবীর বয়স যতোই বাড়ে ইতিহাস ততোই সমৃদ্ধ হয়। এই সমৃদ্ধ ইতিহাসের প্রতিটি ঘটনার প্রতি মানুষের আগ্রহ চিরাচরিত। ইতিহাসের প্রতিটি দিন তাই ভীষণ গুরুত্ব পায় সকলের কাছে।
দৈনিক আমার বাঙলা’র পাঠকদের আগ্রহকে গুরুত্ব দিয়ে সংযোজন করেছে নতুন আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।
আজ মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৬ শাওয়াল ১৪৪৪ হিজরী। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
ঘটনাবলী:
১৮৫৩ - ভারতের বোম্বেতে প্রথম যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
১৯১২ - হ্যারিয়েট কুইয়েম্বি প্রথম নারী হিসাবে বিমানে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেন।
১৯১৬ - রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
১৯১৭ - ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিন সুইজারল্যান্ড থেকে পেত্রোগ্রাদে ফিরে আসেন।
১৯১৭ - লেনিন বিখ্যাত ‘এপ্রিল থিসিস’ ঘোষণা করেন।
১৯১৭ - জার্মানির বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ ঘোষণা।
১৯৪৮ - সশস্ত্র ইহুদীবাদী ইসরাইলীরা ফিলিস্তিনের একটি ইংরেজ সেনা ঘাটিতে হামলা চালালে ৯০ জন ফিলিস্তিনী শহীদ হন।
১৯৬১ - কিউবান নেতা ফিদেল কাস্ত্রো জাতীয় সম্প্রচার মাধ্যমে ঘোষণা দেন যে, তিনি মার্কসবাদী-লেনিনবাদী এবং কিউবায় কমিউনিজম ব্যবস্থা প্রচলন হতে যাচ্ছে।
১৯৯৭ - মক্কা থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মীনায় হাজী ক্যাম্পে একটি গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণে ৩৪৩ জন হাজী অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায় এবং ১২৯০ জন আহত হয়।
২০০১ - ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পাঁচ দিনের সীমান্ত সংঘর্ষ শুরু হয়, যা কোনরূপ সমাধান ছাড়াই সমাপ্ত হয়।
২০০৭ - আইভরি কোস্ট-এর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট লরেন্ট বাগবো প্রথম গৃহযুদ্ধের অবসানের ঘোষণা দেন।
জন্মদিন:
১৩১৯ - জন দ্বিতীয়, ফ্রান্সের রাজা।
১৬৪৬ - জুলিস হার্ডোইন ম্যানসার্ট, ফ্রান্সের বিশিষ্ট স্হপতি।
১৭২৮ - জোসেফ ব্ল্যাক, ফরাসি বংশোদ্ভূত স্কটস চিকিৎসক ও রসায়নবিদ।
১৮৩৯ - আনাটলে ফ্রাঞ্চে স্টারাবা, ইতালীয় রাজনীতিক ও ১২তম প্রধানমন্ত্রী।
১৮৪৪ - আনাতোল ফ্রঁস নোবেলজয়ী ফরাসি কবি সাংবাদিক ও ঔপন্যাসিক। (মৃ. ১৯২৪)
১৮৬৭ - উইলবার রাইট, মার্কিন প্রকৌশলী ও উড়োজাহাজের আবিস্কারক। (মৃ. ১৯১২)
১৮৮৫ - বিপ্লবী উল্লাসকর দত্ত, ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব। (মৃ. ১৯৬৫)
১৮৮৯ - চার্লি চ্যাপলিন, ইংরেজ চলচ্চিত্র অভিনেতা ও চলচ্চিত্রকার। (মৃ. ১৯৭৭)
১৮৯৬ - ক্রিস্টান জারা, তিনি ছিলেন রোমানীয় ফরাসি কবি ও সমালোচক।
১৯২১ - পিটার ইউস্টিনফ, ইংরেজ কবি নাট্যকার চলচ্চিত্রকার চিত্রনাট্যকার,বেতার সম্প্রচারক। (মৃ. ২০০৪)
১৯২৭ - পোপ বেনেডিক্ট, ষোড়শ।
১৯৪৭ - গেরি রাফেরটয়, স্কটিশ গায়ক ও গীতিকার।
১৯৫৪ - এলেন বারকিন, আমেরিকান অভিনেত্রী।
১৯৬০ - রাফায়েল বেনিতেজ, সাবেক স্প্যানিশ ফুটবলার ও ম্যানেজার।
১৯৬০ - পিয়ের লিটবারস্কি, সাবেক জার্মান ফুটবলার ও ম্যানেজার।
১৯৬৫ - মার্টিন লরেন্স, আমেরিকান অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার।
১৯৭২ - কোনকিতা মার্টিনেজ, সাবেক স্প্যানিশ বংশোদ্ভূত আমেরিকান টেনিস খেলোয়াড়।
১৯৭৭ - ফ্রেড্রিক লুক্সুমবার্গ, সুইডিশ ফুটবলার।
১৯৭৮ - লারা দত্ত, ভারতীয় মডেল ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী, মিস ইউনিভার্স-২০০০।
১৯৮৫ - টায়ে টাইও, নাইজেরিয়ান ফুটবলার।
১৯৮৬ - শিনজি অকাযাকি, জাপানি ফুটবলার।
১৯৮৭ - আরন লেননোন, ইংরেজ ফুটবল খেলোয়াড়।
মৃত্যুবার্ষিকী:
৬৯ - ওঠো, রোমান সম্রাট।
১৬৪৫ - টোবিয়াস হিউম, স্কটিশ সৈনিক, ভায়োল বাদক এবং সুরকার। (জ. ১৫৬৯)
১৭৮৮ - জর্জ-লুই ল্যক্লের, কোঁত দ্য বুফোঁ, ফরাসি গণিতবিদ, ফরাসি প্রকৃতিবিদ, গণিতজ্ঞ, জীববিজ্ঞানী, বিশ্বতত্ত্ববিদ ও লেখক।
১৮৫০ - ম্যারি তুসো, মাদাম তুসো জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা। (জ. ১৭৬১)
১৮৫৯ - অ্যালেক্সিস ডি টকুয়েভিলে,ফরাসি ইতিহাসবিদ, রাজনীতিবিদ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী।
১৮৯৬ - হরিনাথ মজুমদার কাঙাল হরিনাথ নামে পরিচিত সাংবাদিক সাহিত্যিক ও বাউল গান রচয়িতা। (জ. ১৮৩৩)
১৯১৬ - টম হোরান, আয়ারল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার।
১৯২৮ - পাভেল আক্সেলরদ, একজন রুশ মেনশেভিক ও সমাজ-গণতন্ত্রী।
১৯৫১ - অদ্বৈত মল্লবর্মণ, বাঙালি ঔপন্যাসিক। (জ. ১৯১৪)
১৯৫৮ - রোজালিন্ড ফ্রাঙ্কলিন, ইংরেজ ভৌত রসায়নবিদ এবং ক্রিস্টালবিদ।
১৯৬২ - খান বাহাদুর হাশেম আলি খান, বাঙ্গালি রাজনীতিবিদ।
১৯৬৬ - নন্দলাল বসু প্রখ্যাত বাঙালি চিত্রশিল্পী। (জ. ১৮৮৩)
১৯৭২ - ইয়াসুনারি কাওয়াবাতা, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জাপানি লেখক।
১৯৭৪ - ভারতপ্রেমিক, রবীন্দ্রস্নেহধন্য ও শ্রীনিকেতনের রূপকার লিওনার্ড নাইট এলমহার্স্ট। (জ. ১৮৯৩)
১৯৮৭ - প্রখ্যাত বাঙালি অভিনেতা বিকাশ রায়। (জ. ১৯১৬)
১৯৮৮ - খলিল আল-ওয়াজির, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী যোদ্ধা।
২০১৫ - স্টানিস্লাভ গ্রস, চেক আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও চেক প্রজাতন্ত্রের ৫তম প্রধানমন্ত্রী।
২০২১ - কিংবদন্তি অভিনেত্রী, চলচ্চিত্র নির্মাতা, সাবেক সাংসদ সারাহ বেগম কবরী। (জ. ১৯৫০)
২০২১ - পিডিএফ ও ফটোশপের উদ্ভাবক ও সফটওয়্যার কোম্পানি এডোবির সহ-প্রতিষ্ঠাতা চার্লস গ্যাসকি।
দিবস:
হাজব্যান্ড অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে।
বিশ্ব কণ্ঠ দিবস।
ওয়ার্ল্ড ভয়েস ডে (ডব্লিউভিডি) বা বিশ্ব কণ্ঠ দিবস হল একটি বিশ্বব্যাপী বার্ষিক ইভেন্ট, যা ১৬ এপ্রিল ভয়েসের ঘটনা উদযাপনের জন্য নিবেদিত হয়। উদ্দেশ্য হল সমস্ত মানুষের দৈনন্দিন জীবনে ভয়েসের বিশাল গুরুত্ব প্রদর্শন করা।
ভয়েস হল কার্যকরী এবং স্বাস্থ্যকর যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক এবং বিশ্ব ভয়েস দিবস ভয়েস সমস্যা প্রতিরোধ, বিচ্যুত বা অসুস্থ ভয়েসের পুনর্বাসন, শৈল্পিক কণ্ঠকে প্রশিক্ষণ এবং ভয়েসের কার্যকারিতা ও প্রয়োগ নিয়ে গবেষণা করার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা নিয়ে আসে।
ওয়ার্ল্ড ভয়েস দিবসের একটি লক্ষ্য হল যারা তাদের ভয়েস ব্যবহার করে ব্যবসা বা আনন্দের জন্য তাদের ভয়েসের যত্ন নিতে শিখতে এবং কীভাবে সাহায্য ও প্রশিক্ষণ নিতে হয় তা জানতে এবং ভয়েস নিয়ে গবেষণায় সহায়তা করতে উৎসাহিত করা।
ভয়েস প্রোডাকশন অনেক শাখায় অধ্যয়ন করা হয় এবং প্রয়োগ করা হয় যেমন মেডিসিন, স্পিচ-ল্যাংগুয়েজ প্যাথলজি, মিউজিক, ফিজিক্স, সাইকোলজি , ফোনেটিক্স , আর্ট এবং বায়োলজি।
কণ্ঠস্বরের গুরুত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং ভয়েস সমস্যার প্রতি সতর্কতা বৃদ্ধির মূল লক্ষ্য নিয়ে ১৬ এপ্রিল বিশ্ব কণ্ঠ দিবস প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
এটি ১৯৯৯ সালে ব্রাজিলের জাতীয় কণ্ঠস্বর দিবস হিসাবে ব্রাজিলে শুরু হয়েছিল। এটি ছিল চিকিৎসক, বক্তৃতা-ভাষার প্যাথলজিস্ট এবং গায়ক শিক্ষকদের একটি মিশ্র উদ্যোগের ফলাফল, যা ডক্টর নেডিওর সভাপতিত্বে 'সোসিয়েদাদে ব্রাসিলেইরা দে লারিংগোলজিয়া ই ভয়জ - এসবিএলভি' (ব্রাজিলিয়ান সোসাইটি অফ ল্যারিঙ্গোলজি অ্যান্ড ভয়েস) এর অন্তর্গত।
ব্রাজিলের এই উদ্যোগটি আর্জেন্টিনা ও পর্তুগালের মতো অন্যান্য দেশ অনুসরণ করেছিল এবং ব্রাজিলের জাতীয় কণ্ঠ দিবস আন্তর্জাতিক ভয়েস দিবসে পরিণত হয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, আমেরিকান একাডেমি অফ অটোলারিঙ্গোলজি- হেড অ্যান্ড নেক সার্জারি ২০০২ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে এই উদযাপনকে স্বীকৃতি দেয় এবং সেই বছর এই অনুষ্ঠানটি 'ওয়ার্ল্ড ভয়েস ডে' নামে পরিচিত হয়।
২০১২ সালে ৩ জন ভয়েস গবেষক, প্রফেসর জোহান সান্ডবার্গ (সুইডেন), প্রফেসর টেকুমসেহ ফিচ (অস্ট্রিয়া) এবং ড. ফিলিপা লা (পর্তুগাল) বিশ্ব ভয়েস দিবস উদযাপনের জন্য একটি আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইট গ্রুপ গঠনের জন্য বেশ কয়েকটি দেশের ভয়েস বিশেষজ্ঞদের আমন্ত্রণ জানান।
ওয়েবসাইটটির সমন্বয়ক ছিলেন অধ্যাপক জোহান সুন্ডবার্গ এবং ডক্টর গ্লাসিয়া লাইস সালোমাও (ব্রাজিল)। বর্তমানে গোষ্ঠীটিতে ৬৬ জন সদস্য রয়েছে যারা তাদের নিজ নিজ দেশে বিশ্ব ভয়েস দিবসের অনুষ্ঠানের সূচনা ও সমন্বয় করতে সহায়তা করে। বর্তমানে ওয়েবসাইটটি সমন্বিত করেছেন Mara Behlau, Thays Vaiano এবং Mauro Andrea.
২০১৮ সালে ৫০টি দেশে প্রায় ৬০০টি ইভেন্ট সংঘটিত হয়েছে। সবগুলোই ওয়েব সাইট world-voice-day.org-এ তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, যেখানে আরও তথ্য পাওয়া যাবে। তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া
এবি/এইচএন