বাড়ির আঙিনায় মরিচগাছ লাগিয়ে সেটির ঠিকঠাক পরিচর্যা করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লিখিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যের পরিবেশবাদী একটি দল। ওই লাল মরিচগাছটি একটু একটু করে বাড়তে বাড়তে উচ্চতা গিয়ে ঠেকেছে ১৬ ফুট পাঁচ ইঞ্চিতে।
মিসিসিপির যে দল ওই মরিচগাছের যত্ন করেছে, তাদের নেতা হেনরি পোপ। তিনি উদ্যানতত্ত্ববিদ। তিনি উদ্ভিদের জীবনরহস্য উন্মোচন নিয়ে কাজ করেন। সাত বছর ধরে তিনি কাজ করছেন বিশেষ কিছু মরিচগাছ নিয়ে। ক্রস-পরাগায়নের (ক্রস-পলিনেটিং) মাধ্যমে তিনি বৈচিত্র্যময় উদ্ভিদ প্রজাতির আবিষ্কার করতে চান। পোপের পরিকল্পনা ঝুলন্ত বাগান তৈরি করা এবং সব জায়গায় তার ওই পরিকল্পনা ছড়িয়ে দেওয়া।
নিজের মরিচগাছ নিয়ে স্থানীয় একটি পত্রিকাকে পোপ বলেন, ‘কোনো ধরনের বিশ্ব রেকর্ড গড়ার সুযোগ পাওয়া কখনোই আমাদের লক্ষ্য ছিল না।’
পোপ সব সময় চান, মানুষ মুদিদোকানের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনুক। আরো অনেক মানুষ তার মতো করে ভাবেন। তাদের জন্যই এ গবেষণার কাজ করছেন তিনি।
পোপ বলেন, ‘সব সময় আমাদের লক্ষ্য যা ছিল, এখনো তা–ই আছে। আমরা তাদের জন্য প্রকৃতিতে খাদ্য উৎপাদনকারী গাছের বৈচিত্র্য আরো বাড়াতে চাই, যারা মুদিদোকানের ওপর কম নির্ভরশীল হতে চান।’
এর আগে সবচেয়ে বেশি উচ্চতার মরিচগাছটিও যুক্তরাষ্ট্রেই জন্মেছিল। ১৯৯৯ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা লরা লিয়াং নামের এক নারী ওই গাছের মালিক ছিলেন। লরা লিয়াংয়ের মরিচগাছের উচ্চতা ছিল ১৬ ফুট।
পোপ ও তার দলের লাগানো মরিচগাছটির উচ্চতা লরা লিয়াংয়ের মরিচগাছের উচ্চতা ছাড়িয়ে যাওয়ার পর তারা গাছের উচ্চতা মাপতে একটি বিশেষজ্ঞ দলকে ডেকে আনেন। উদ্ভিদবিশেষজ্ঞ ও স্থানীয় কর্মকর্তারাও মাপজোখের সময় উপস্থিত ছিলেন।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের জন্য আনুষ্ঠানিক আবেদন করতে পোপের দল এই মাপজোখের ব্যবস্থা করেছিল।
এখন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ আবেদন যাচাই করে দেখবে এবং সন্তুষ্ট হলে রেকর্ড বইয়ে নতুন করে রেকর্ড লেখা হবে।
আমারবাঙলা/এমআরইউ