ছোট একটি বার্গার, যার দাম প্রায় পাঁচ লাখ টাকা! অবাক হওয়ার মতো বিষয়। পৃথিবীর সবচেয়ে দামি বার্গার হওয়ার দৌড়ে রয়েছে এটি।
বার্গারটি খাওয়ার সময় প্রতিটি কামড়ে পাওয়া যাবে সোনার ছোঁয়া। এই বার্গারের রুটি তৈরি করা হয়েছে ডম পেরিনিয়ন শ্যাম্পেইন দিয়ে এবং এটি মোড়ানো হয়েছে ২৪ ক্যারাট খাঁটি ভোজ্য সোনায়।
বিশ্বের অন্যতম বিলাসবহুল এবং দামি খাবারের উপাদান ট্রাফলসের সবুবাসহ এতে রয়েছে ১৭০টি ভিন্ন ভিন্ন উপাদান। আর এর কারিগর ডাচ শেফ রববেট জ্যান ডি ভিন, যিনি বিশ্বরেকর্ড গড়ার লক্ষ্যে রয়েছেন। তিনি এমনই এক বার্গার তৈরি করেছেন যাতে রয়েছে দুনিয়ার সবচেয়ে দুর্লভ উপাদানগুলোর অনন্য স্বাদ।
ডি ভিনের রেস্তোরাঁ ‘ডে ডালটন’ আমস্টারডামের কাছে ভর্থুইজেন শহরে অবস্থিত। কোভিড-১৯ মহামারির সময়, যখন নেদারল্যান্ডসের রেস্তোরাঁগুলো বন্ধ ছিল, তখন তিনি গিনেস বুক অব রেকর্ডসের পুরানো তথ্য ঘেঁটে সিদ্ধান্ত নেন নতুন একটি রেকর্ড গড়ার। এর আগের রেকর্ডটি ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন ভিত্তিক একটি রেস্তোরাঁর, যাদের বার্গারের দাম ছিল চার হাজার ২১০ ইউরো। ডি ভিনের বার্গারের দাম সেই রেকর্ড ভেঙে পাঁচ হাজার ইউরোতে পৌঁছতে পারে।
কারিগর বলছেন, এই বার্গারে রয়েছে ১৭০টি ভিন্ন ভিন্ন উপাদান। প্রধান বিলাসবহুল উপাদানগুলোর মধ্যে রয়েছে সাদা ট্রাফলস, ইবেরিয়ান সেরানো হ্যাম, বেলুগা ক্যাভিয়ার, কিং ক্র্যাবের মাংস, স্মোকড ডাক এগ মেয়ো, ডম পেরিনিয়ন শ্যাম্পেইনে ভেজানো পেঁয়াজের রিং, ২৪ ক্যারেটের স্বর্ণ ও ট্রাফলস দিয়ে তৈরি ইংলিশ চেডার চিজ। বার্গারের প্যাটির জন্য ব্যবহার করা হয়েছে জাপানি ওয়াগ্যু এ৫ মাংস, যা স্বাদ ও নরম হওয়ার জন্য বিখ্যাত।
তারা আরো জানান, এই বার্গারের প্যাটি তৈরি হয়েছে চাক, শর্ট রিব এবং ব্রিসকেট মাংস দিয়ে; যা এটিকে আরো বিশেষ করেছে। বার্গারের বারবিকিউ সসে রয়েছে ম্যাকালান হুইস্কি, বালসামিক সিডার ভিনেগার, আর কোপি লুওয়াক কফি— যা বিশেষভাবে এক ধরনের বিড়ালের মল থেকে সংগ্রহ করা হয়।
আরো জানা যায়, এই অত্যন্ত বিলাসবহুল বার্গার পরিবেশন করা হয় কালো প্লেটে, যা একটি চেম্বারে রাখা হয়, যাতে এর ওপর সিঙ্গেল মাল্ট হুইস্কির ধোঁয়া থাকে। ফলে পরিবেশনার মুহূর্তটি আরো আকর্ষণীয় ও মনোমুগ্ধকর হয়ে ওঠে।
এতসব বিলাসিতার মধ্যে শেফ ডি ভিনের একটি মহৎ উদ্দেশ্যও রয়েছে। এই বার্গার বিক্রি থেকে অর্জিত অর্থ তিনি স্থানীয় ফুডব্যাংকের মতো দাতব্য সংস্থায় দান করবেন।
আমারবাঙলা/এমআরইউ