লাইফস্টাইল ডেস্ক: প্রচণ্ড গরমে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বিশেষ করে ছোট-বড় অনেকেই ভাইরাস জ্বরে ভুগছেন। এর লক্ষণ হিসেবে দেখা দিচ্ছে- হাঁচি, কাশি, নাক দিয়ে পানি পড়া, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, সারা শরীরে ও হাতে-পায়ে ব্যথা, মাথাব্যথা, খাবারে অরুচি, বমি বমি ভাব ও বমি হওয়া।
এছাড়া ত্বকে ফুসকুড়ি দেখা দেওয়া, শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া, শীত শীত অনুভূত হওয়া ও কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসা এসবই ভাইরাস জ্বরের লক্ষণ। শিশুদের অতিরিক্ত জ্বরের কারণে কখনো কখনো খিঁচুনি হতে পারে।
জ্বরের পাশাপাশি এসব লক্ষণ দেখলে দ্রুত জ্বর কমানোর জন্য প্রথমে দেহের তাপমাত্রা কমানোর ওষুধ প্যারাসিটামল খাওয়াতে হবে রোগীকে। ভাইরাস জ্বরে অ্যান্টি বায়োটিক কার্যকর নয়। শিশুদের ক্ষেত্রে জ্বর হলে একটু বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
জ্বর হলে প্রাথমিকভাবে কুসুম গরম পানি দিয়ে স্পঞ্জিং করতে হবে। খুব ঠান্ডা পানি ব্যবহার করা ঠিক নয়। পুরো শরীর কুসুম গরম পানিতে ভেজানো নরম কাপড় বা তোয়ালে দিয়ে টানা কয়েকবার আলতো করে মুছে দিলে শরীরের তাপমাত্রা কমে যায় ও খুব ভালো বোধ করে আক্রান্ত রোগী।
জ্বরের মাত্রা বাড়লে মাথায় পানি দিতে হবে। রোগীকে ফ্যানের বাতাসের নিচে রাখুন। জ্বর ও ব্যথা কমাতে মাত্রা অনুযায়ী প্যারাসিটামল সিরাপ/ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে। উচ্চমাত্রায় জ্বর ১০৩ ডিগ্রিতে পৌঁছালে মলদ্বারে প্যারাসিটামল সাপোজিটরি ব্যবহার করা যেতে পারে।
রোগীকে খাবার স্যালাইন, ফলের রস, শরবত ইত্যাদি তরল খাবার বেশি বেশি খাওয়াতে হবে। অন্যান্য স্বাভাবিক খাবার স্বাভাবিক নিয়মে চলবে। তবে তরল খাবার অবশ্যই বেশি বেশি দিতে হবে। টকজাতীয় ফল জাম্বুরা, আমড়া, কমলা, লেবু ইত্যাদি খাওয়া ভালো।
জ্বর তিন দিনের মধ্যে না সারলে ও অন্যান্য উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বিশেষ করে শ্বাসকষ্ট, খিঁচুনি, অতিরিক্ত বমি, পাতলা পায়খানা ও ত্বকে ফুসকুড়ির জন্য দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রয়োজনে নিকটস্থ হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে। তৌফিক সুলতান : ইন্টার্ন শিক্ষার্থী, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
এবি/এইচএন