লাইফস্টাইল ডেস্ক: তরমুজ বহু পুষ্টিগুণ সম্পন্ন একটি সুস্বাদু ও রসালো ফল। শিশু থেকে বয়স্ক সবাই এই ফলটি পছন্দ করেন। গ্রীষ্মের এই সময়ে রোজা রাখায় শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। এজন্য ইফতারে রাখা যেতে পারে মৌসুমি এই ফল।
তরমুজে প্রচুর পরিমাণে শর্করা থাকে। এছাড়া এতে থাকে অনেকগুলো খনিজ উপাদান। এর মধ্যে অন্যতম উপাদান হচ্ছে আয়রন। আয়রন রক্ত ও রক্তের হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সহায্য করে। সুতরাং যাদের রক্তস্বল্পতা বা রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম, তাদের জন্য এই ফল উপকারী।
(১) পানির ঘাটতি দূর করে:
গরমে ঘামের কারণে শরীর থেকে প্রচুর পানি বেরিয়ে যায়। রোজায় সেই ঘাটতি দিনের বেলা মেটানো সম্ভব হয় না। দীর্ঘ সময় পানি না খাওয়ার কারণে যে পানিস্বল্পতা তৈরি হচ্ছে, তা পূরণে তরমুজ বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে। তাই ইফতারে রাখতে পারেন তরমুজ। এতে শরীর তো ঠান্ডা হবেই, সেই সঙ্গে তরমুজে ৯২ শতাংশ পানি থাকায় এটি এই গরমে রোজার পরে শরীরে পানির ঘাটতিও মিটাবে। তবে খেয়াল রাখবেন, তরমুজ কিন্তু পানির বিকল্প নয়। তাই ইফতারের পর পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে।
(২) হার্ট ভালো রাখে:
তরমুজে থাকে সাইট্রুলাইন নামক বিশেষ এক ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড। এই অ্যামাইনো অ্যাসিড স্বাভাবিক রক্ত সংবহনে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে কমায় ব্লাড প্রেশার। এতে হৃৎপিণ্ড সুস্থ থাকে। এছাড়া তরমুজে থাকে লাইকোপেন। এই উপাদান হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা কমাতে কাজ করে- এমনটাই উঠে এসেছে বিভিন্ন গবেষণায়।
(৩) চোখ ভালো রাখে:
চোখ ভালো রাখতে কাজ করে তরমুজ। তরমুজের একটি বড় টুকরা খেলে দৈনিক চাহিদার প্রায় ৯-১১ শতাংশ ভিটামিন এ পাওয়া যাবে। চোখের বিভিন্ন সমস্যা সারাতে এই ভিটামিন ভীষণ কার্যকরী। সেই সঙ্গে তরমুজে থাকে খনিজও। যে কারণে চোখের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে এটি বড় ভূমিকা রাখে।
(৪) জয়েন্ট ভালো রাখে:
তরমুজে থাকে বিটা ক্রিপটোজ্যানথিন নামক একটি প্রাকৃতিক পিগমেন্ট। এই উপাদান অস্থিসন্ধির প্রদাহ দূর করতে কাজ করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, এই উপাদান রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস প্রতিরোধে কাজ করে। যারা জয়েন্টের ব্যথায় ভুগছেন, তারা এই ফল নিয়মিত খেলে উপকার পাবেন।
(৫) ত্বক ভালো রাখে:
ত্বক ভালো রাখার কাজেও সাহায্য করে তরমুজ। রসালো এই ফলে আছে ভিটামিন এ, বি৬, সি। এই ভিটামিনগুলো ত্বককে মসৃণ করতে সাহায্য করে। তাই ইফতারের থালায় তরমুজ রাখুন।
এবি/এইচএন