লাইফস্টাইল ডেস্ক: স্ট্রোকের মধ্যে ইসকেমিক স্ট্রোকের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। হৃৎপিণ্ড থেকে রক্ত সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু মস্তিষ্কে যাওয়ার ধমনীতে কোনো বাধা থাকলে রক্ত পরিবহন বন্ধ হয়ে যায়। ফলে রক্ত মস্তিষ্কে যেতে পারে না। মস্তিষ্কের কোষগুলো অক্সিজেন পায় না। এর ফলে একজন ব্যক্তির প্যারালাইসিস হয়ে যায়। একেই স্ট্রোক বলা হয়।
পানিশূন্যতাজনিত স্ট্রোকের বিষয়ে বেঙ্গালুরু ফর্টিস হাসপাতালের নিউরোলজিস্ট গুরুপ্রসাদ হসুরকার সংবাদমাধ্য়ম আইএএনএসকে জানান, শরীরে পানির অভাব স্ট্রোকে সঙ্গে জড়িত নয়।
তবে পানির অভাবে শরীরে বেশ কিছু বদল আসে। আর সেই পরিবর্তনের কারণেই শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের পরিমাণে তারতম্য ঘটে। ফলে স্ট্রোক হতে পারে। তবে এর জন্য আর্টেরিয়াল স্ট্রোকের বদলে মূলত সেরিব্রাল ভেনাস স্ট্রোক হয়।
স্ট্রোকের পেছনে এছাড়াও বেশ কিছু কারণ দায়ী থাকে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, শরীরে পানি কমে গেলে রক্ত ঘন হয়ে যায়। রক্ত ঘন হয়ে গেলে ধীরে ধীরে চলাচল করে। এর ফলে রক্তচাপও কমে যায়। রক্তচাপ কমে গেলে রক্ত ঠিকমতো ব্রেনে পৌঁছাবে না। ফলে ব্রেনের সমস্যা হতে পারে।
এছাড়া শরীরে পানি কমে গেলে ব্রেনের উপরেও প্রভাব পড়ে। মস্তিষ্কের মধ্যে থাকা রক্তনালিগুলো সংকুচিত হয়ে পড়ে ও রক্তপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে মস্তিষ্কের বেশ কিছু অংশে অক্সিজেন কমে যায়। যা স্ট্রোকের বড় কারণ। এদিক থেকেও ডিহাইড্রেশন প্রভাব ফেলতে পারে শরীরে।
পানিশূন্যতার লক্ষণসমূহ-
১. মাথাব্যথা
২. রক্তচাপ কমে যাওয়া
৩. ইউরিন ইনফেকশন
৪. কোষ্ঠকাঠিন্য
৫. দুর্বলতা
৬. ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া
৭. অস্থিসন্ধিতে ব্যথা
৮. ওজন বেড়ে যাওয়া
৯. কিডনির বিকল হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।
পানিশূন্যতার ঝুঁকি কমানোর উপায়-
যদি ডিহাইড্রেশনের বিভিন্ন লক্ষণ যেমন- শুষ্ক মুখ, মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা ও তৃষ্ণার্ত হওয়া অনুভব করেন তাহলে বারবার অল্প অল্প করে পানি পান করুন।
দিনের বেলা পর্যাপ্ত তরল পান করুন যাতে প্রস্রাবের রং পরিষ্কার হয়। যদি বমি বা অতিরিক্ত ঘাম বা ডায়রিয়া হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। পাশাপাশি তরল খাবার যেমন- স্যুপ, তাজা ফলের রস বেশি করে পান করুন। সূত্র: এবিপি লাইভ/হেলথলাইন
এবি/এইচএন