লাইফস্টাইল ডেস্ক: খাবারের পুষ্টিগুণ ভালো রাখার জন্য ফ্রিজে রাখা হয়। তবে রাখলেই শুধু চলবে না, খাবার সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। কিছু খাবার আছে যেগুলো ফ্রিজে রাখা ক্ষতিকর। কিন্তু আমরা না জেনেই অনেক সময় সেগুলো ফ্রিজে রাখি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৪টি খাবার ফ্রিজে রাখলে তা বিষাক্ত হয়ে যেতে পারে। সেখান থেকে হতে পারে আপনার শরীরের কোনো ক্ষতির কারণ।
৪টি খাবার রয়েছে যেগুলো ফ্রিজে সংরক্ষণ করার ফলে রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, হিমায়নের প্রক্রিয়া চলাকালীন, নির্দিষ্ট কিছু খাবার সেগুলোতে থাকা প্রয়োজনীয় পুষ্টি হারায়। শুধু তাই নয়, খাবারের রঙ, স্বাদ এবং টেক্সচারও প্রভাবিত হয়। এই সমস্ত কারণে খাবারটি অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন ৪টি খাবার ফ্রিজে রাখা ক্ষতিকর-
১) রসুন
রসুন বোটুলিজম-সৃষ্টিকারী স্পোরকে আশ্রয় দেয় বলে পরিচিত, যেগুলো খাদ্য আইটেম ঠিকভাবে সংরক্ষণ করা না হলে সক্রিয় হয়। যেকোনো সময় আর্দ্রতা ৬০% এর বেশি হয়ে গেলে এটি বাড়তে শুরু করে। বিশেষজ্ঞের মতে, রেফ্রিজারেটরগুলো ৬০% এর বেশি আর্দ্র হতে থাকে। ফ্রিজে রসুন সংরক্ষণ করলে তা অঙ্কুরিত হতে পারে এবং মাইকোটক্সিন নামে পরিচিত বিষাক্ত যৌগের বৃদ্ধি ঘটাতে পারে, যা স্বাস্থ্যের গুরুতর অবস্থার কারণ হতে পারে।
২) পেঁয়াজ
পেঁয়াজ কম তাপমাত্রায় প্রতিরোধী। এটি অল্প তাপমাত্রায় রাখলে তা অংকুরিত হতে শুরু করে। একটি কাটা পেঁয়াজ ফ্রিজে রেখে দিলেও সমস্ত ব্যাকটেরিয়া শুষে নিতে পারে, ফলে এটি খাওয়ার অযোগ্য হয়ে পড়ে। তাই বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, হয় পুরো পেঁয়াজ ব্যবহার করুন বা অবশিষ্টাংশ ফেলে দিন।
৩) আদা
অনেকটা রসুনের মতো, আদাও ফ্রিজে রাখলে ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে। বিশেষজ্ঞের মতে, ফ্রিজে আদা রাখলে তাতে সবুজ ছত্রাক তৈরি করতে পারে। যা ওক্র্যাটক্সিন এ তৈরি করে। এটি একটি সাধারণ খাদ্য-দূষিত মাইকোটক্সিন। বেশ কয়েকটি গবেষণা অনুসারে, এই দূষণ কিডনি এবং লিভারের সমস্যার সঙ্গে সম্পর্কিত এবং সামগ্রিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও প্রভাবিত করে।
৪) ভাত
ফ্রিজে ভাত সংরক্ষণ করা এখন একটি সাধারণ অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু অভ্যাস আপনার জন্য ক্ষতিকর। ফ্রিজে ভাত রাখলে তাতে স্টার্চের মাত্রা বেড়ে যায়। সেইসঙ্গে এটি আপনার কোলেস্টেরল এবং রক্তে শর্করার মাত্রাকেও প্রভাবিত করে। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন, সর্বোত্তম অভ্যাসটি হলো ভাত ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ফ্রিজে সংরক্ষণ না করা এবং খাওয়ার আগে তা পুনরায় গরম করে খাওয়া।
এবি/এইচএন