লাইফস্টাইল ডেস্ক: শরীরের বাড়তি মেদ নিয়ে চিন্তিত? তাহলে নতুন বছরেই শুরু করে দিন ওয়েট লস জার্নি। ওজন কমানোর কথা আসতেই অনেকেই ভাবেন দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকতে হবে কিংবা কঠোর ডায়েট করতে হবে।
তবে এ ধারণা কিন্তু ভুল। আপনি যদি সঠিক খাবার সঠিক সময়ের মধ্যে খান আর পাশাপাশি কিছুক্ষণ শরীরচর্চা করেন তাহলেই দেখবেন ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
আসলে ক্র্যাশ ডায়েট, ইন্টারমিটিং ফাস্টিংসহ শরীরচর্চা যাই করুন না কেন তার একটি পরিমাণ রাখুন। কেননা অতিরিক্ত ডায়েট এবং শরীরচর্চা শরীরের জন্য হতে পারে মারাত্মক ক্ষতিকর। আপনার জন্য কোনটি প্রযোজ্য আগে তাই জানুন।
এছাড়া সাধারণ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। যা ওজন কমাতে এতো শত কঠিন ডায়েট প্ল্যান থেকেও বেশি কার্যকর। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেসব উপায়গুলো-
১) গরম পানি পান করুন
নিয়মিত গরম পানি পান করুন। ওজন কমাতে লেবু-মধু-গরম পানির উপকারিতার কথা অনেকেই জানেন। তবে শুধু গরম পানি পান করেও ওজন কমানো সম্ভব সে কথা অনেকেরই অজানা।
গরম পানি শরীরের টক্সিন দূর করতে সহায়তা করে। এছাড়াও গরমপানি আপনার অস্বাস্থ্যকর ডায়েটের ফলে শরীরে যে বাড়তি মেদ জমে তা প্রতিরোধ করতে সহায়তা করবে।
২) পর্যাপ্ত ঘুমান
ওজন কমানোর আরেকটি উপায় হচ্ছে পর্যাপ্ত ঘুম। অবাক হলেও এটি প্রমাণিত। গবেষণা দেখা যায়, ঘুমের অভাব মানুষের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে।
ফলে ওজনও বেড়ে যায়। তাই নিয়মিত ৮ ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করুন। এতে আপনার শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে।
৩) তিনবেলা খাবার খান
ওজন কমাতে অব্যশই দিনে তিনবেলা খাবার খান। শরীরের নিয়মিত হজম প্রক্রিয়ার কিছুটা বিশ্রামের প্রয়োজন।
তাই আপনার ডায়েট চার্ট অনুযায়ী সকাল, দুপুর ও রাতে খাবার খান। এতে আপনার ডাইজেস্ট প্রক্রিয়া যেমন ভালো থাকবে তেমনি শরীরে ওজন কমাতেও সাহায্য করবে।
৪) রাতের খাবার আবশ্যক
রাতের খাবার বাদ দেওয়া যাবে না। তবে তা হবে অবশ্যই হালকা। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ৩-৪ ঘণ্টা আগে আপনার রাতের খাওয়া শেষ করুন। ভারী খাবার রাতের বেলা একেবারেই গ্রহণ করা যাবে না।
৫) খাবার গ্রহণের পর হাঁটুন
খাবার খাওয়ার ১০ থেকে ১৫ মিনিট হাঁটুন। যারা জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করার সময় পান না। তারা এই কাজটি করতে পারেন।
এতে করে আপনার শরীরের মেটাবোলিজম বাড়াতে সহায়তা করবে। সেই সঙ্গে খাবারের ফলে বাড়তি মেদ শরীরে জমতে পারবে না। ফলে ওজনও বাড়বে না আপনার।
আর অবশ্যই খাবারের তালিকায় রাখুন ফল। বিশেষ করে মৌসুমী ফল বেশি খাওয়ার চেষ্টা করুন। শাকসবজির পাশাপাশি বাদাম, কুমড়ার বীজ, মৌসুমী ফল খান। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।
এবি/এইচএন