লাইফস্টাইল ডেস্ক: স্থূলতার কারণে বিভিন্ন ক্যান্সার হওয়ার সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত। তাই বয়স চল্লিশের আগেই ওজন নিয়ন্ত্রণে সচেষ্ট হওয়া জরুরি। নরওয়ের ‘ইউনিভার্সিটি অফ বার্গেন’য়ের গবেষকদের করা এক পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, বয়স চল্লিশের আগে ওজন নিয়ন্ত্রণে না রাখলে পরে স্থূলতা-সম্পর্কিত ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও গবেষক টোন বিজোর্গ বলেন, “বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার হওয়ার পেছনে স্থূলতার সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত। এই পর্যবেক্ষণের কারণ হল অতিরিক্ত ওজন এবং স্থূলতার মাত্রা, সময় এবং স্থিতিকালের সঙ্গে ক্যান্সারের ঝুঁকি নির্ণয় করা।
‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ এপিডেমিওলজি’তে প্রকাশিত এই গবেষণার জন্য গবেষকরা প্রাপ্তবয়স্কদের অতিরিক্ত ওজন (বিএমআই ২৫ এর ওপর) এবং স্থূলতা (বিএমআই ৩০ এর ওপর) কীভাবে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি তৈরি করে তা নির্ণয়ের চেষ্টা করেন।
গবেষকরা এর জন্য ‘মি-ক্যান’ পর্যবেক্ষণের ফলাফল থেকে ২ লাখ ২০ হাজার মানুষের তথ্য পর্যালোচনা করেন। যারা ছিলেন নরওয়ে, সুইডেন এবং অস্ট্রিয়ার অধিবাসী। এর সঙ্গে যুক্ত করা হয় সেসব দেশের ক্যান্সারে আক্রান্ত নিবন্ধিতদের উচ্চতা এবং ওজন সম্পর্কিত তথ্য।
গবেষকরা দেখতে পান, পুনঃপর্যবেক্ষণের সময় ২৭ হাজার ৮৮১ জনকে ক্যান্সারে আক্রান্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে, তাদের মধ্যে ৯ হাজার ৭৬১ জন (৩৫ শতাংশ) স্থূলকায়। এই গবেষণায় দেখা যায়, যদি বয়স চল্লিশের আগেই অতিরিক্ত ওজন থাকে তবে বিভিন্ন ধরনের স্থূলতা-ভিত্তিক ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
এরমধ্যে ৭০ শতাংশ এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সার, ৫৮ শতাংশ পুরুষের রেনাল-সেল ক্যান্সার, ২৯ শতাংশ কোলন ক্যান্সার এবং ১৫ শতাংশ স্থূলতা সম্পর্কিত অন্যান্য ক্যান্সার নারী ও পুরুষের ক্ষেত্রে হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ওজন স্বাভাবিকদের তুলনায় যাদের ওজন বেশি (বিএমআই ৩০ এর ওপর) তাদের ক্ষেত্রে প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় পরীক্ষায় দেখা গেছে স্থূলতা সম্পর্কিত ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
বিজোর্গ বলেন, “অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে পুরুষদের ক্ষেত্রে ৬৪ শতাংশ এবং নারীদের ক্ষেত্রে ৪৮ শতাংশ।
এবি/এইচএন