মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ভয়েস অব আমেরিকার এক হাজার ৩০০ জনের বেশি কর্মীকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (১৫ মার্চ) তাদের ছুটিতে পাঠানো হয়। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে পরিচালিত আরো দুটি সংবাদমাধ্যমের তহবিলও বাতিল করা হয়েছে।
ট্রাম্প সরকারি তহবিলে পরিচালিত সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকার মূল প্রতিষ্ঠান এবং আরো ছয়টি ফেডারেল সংস্থাকে কর্মী হ্রাস করার নির্দেশ দেওয়ার একদিন পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো।
ভয়েস অব আমেরিকার পরিচালক মাইকেল আব্রামোভিস বলেছেন, প্রায় এক হাজার ৩০০ সাংবাদিক, প্রযোজক এবং সহযোগীদের প্রায় সবাইকে প্রশাসনিক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। যার ফলে প্রায় ৫০টি ভাষায় পরিচালিত এই মিডিয়া সম্প্রচারক প্রতিষ্ঠান পঙ্গু হয়ে পড়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প প্রশাসন এমন একটি সংস্থাকে ধ্বংস করে দিতে চলেছে যা কর্তৃত্ববাদী দেশগুলোতে নির্ভরযোগ্য সংবাদের একটি ভালো উৎস হিসেবে কাজ করে।
রবিবার (১৬ মার্চ) ভয়েস অব আমেরিকার সিউল ব্যুরো প্রধান উইলিয়াম গ্যালো জানান, তাকে কোম্পানির সব সিস্টেম এবং অ্যাকাউন্ট থেকে লক আউট করা হয়েছে।
ভয়েস অব আমেরিকার মূল প্রতিষ্ঠান দ্য ইউএস এজেন্সি ফর গ্লোবাল মিডিয়া (ইউএসএজিএম) তাদের আরো দুই সংবাদমাধ্যম রেডিও ফ্রি ইউরোপ/রেডিও লিবার্টি ও রেডিও ফ্রি এশিয়ার বরাদ্দও বাতিল করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোতে রেডিও ফ্রি ইউরোপ সম্প্রচারিত হয়। এ ছাড়া ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকেও এটি শোনা যায়। রেডিও ফ্রি এশিয়া চীন ও উত্তর কোরিয়ায় সম্প্রচারিত হয়।
এদিকে রেডিও ফ্রি ইউরোপ/রেডিও লিবার্টি তাদের ওয়েবসাইটে উল্লেখ করেছে যে রাশিয়ান সরকার এটিকে ‘অবাঞ্ছিত সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং রাশিয়া এবং রাশিয়া-অধিকৃত ইউক্রেনের পাঠকদের সতর্ক করে দিয়েছে, এর বিষয়বস্তু লাইক বা শেয়ার করার জন্য তাদের ‘জরিমানা বা কারাদণ্ড’ হতে পারে।
শুক্রবার ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন। ওই আদেশে ইউএসএজিএম এবং আরো ছয়টি স্বল্প পরিচিত সংস্থাকে তাদের কার্যক্রম আইন অনুসারে ন্যূনতম পর্যায়ে নামিয়ে আনার নির্দেশ দেয়া হয়। বলা হয়, আমলাতন্ত্র সঙ্কুচিত করতে এটি করা প্রয়োজন।
ভয়েস অব আমেরিকা ১৯৪২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সংবাদমাধ্যমটি এখন সপ্তাহে ৩৬ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছায় বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়।
আমারবাঙলা/এমআরইউ