যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম পর্যায়ের শেষ নির্ধারিত বিনিময়ের অংশ হিসেবে গাজায় আটক চার ইসরায়েলির মৃতদেহ রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তর করেছে হামাস। একই সঙ্গে ওফার কারাগার থেকে ৬২০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে বহনকারী প্রথম বাসটি অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লায় পৌঁছেছে।
হামাস গত সপ্তাহে ইসরায়েল কর্তৃক মুক্তিপ্রাপ্ত ৬২০ ফিলিস্তিনি বন্দি এবং যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় আটক সমসংখ্যক নারী ও শিশু হস্তান্তরের বিষয়ে মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর ঘোষণা দেওয়ার পর এই বিনিময়টি ঘটে।
চুক্তি অনুযায়ী ভ্রাম্যমাণ বাড়ি ও তাঁবু সরবরাহ না করায় উপত্যকায় হাইপোথার্মিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছে ছয় নবজাতক। এদিকে, ফিলিস্তিনিদের ওপর আগ্রাসনকে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদের সঙ্গে তুলনা করেছেন ইসরায়েলের সাবেক মধ্যস্থতাকারী।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক ইসরায়েলকে গাজা উপত্যকায় আরো তাঁবু এবং আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপনের অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গাজায় ৪৮ হাজার ৩৪৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে, যেখানে এক লাখ ১১ হাজার ৭৬১ জন আহত হয়েছেন। সরকারি মিডিয়া অফিস তাদের মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে ৬১ হাজার ৭০৯ জনে আপডেট করেছে এবং জানিয়েছে যে ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে মৃত বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।
৭ অক্টোবর, ২০২৩ সালে হামাস-নেতৃত্বাধীন হামলায় ইসরায়েলে কমপক্ষে এক হাজার ১৩৯ জন নিহত এবং ২০০ জনেরও বেশি মানুষকে বন্দি করা হয়েছিল।
এদিকে, ঠাণ্ডা ও বৃষ্টির কারণে গাজায় তীব্র হচ্ছে মানবিক সংকট। হাইপোথার্মিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছে বেশ কয়েকটি শিশু। চুক্তি অনুযায়ী ৬০ হাজার ভ্রাম্যমাণ ঘর ও দুই লাখ তাঁবু সরবরাহের কথা থাকলেও তার কিয়দংশ পাঠিয়েছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস হয়েছে উপত্যকার ৯০ শতাংশ স্কুল। বাকি ১০ শতাংশে শুরু হয়েছে শিক্ষা কার্যক্রম। ১৬ মাস পর ক্লাসে ফিরতে পেরে অনেক শিশুই আনন্দে উৎফুল্ল ছিল। যদিও শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ সবার কণ্ঠেই ছিল পুনরায় যুদ্ধ শুরুর শঙ্কা।
আমারবাঙলা/এমআরইউ