গত সপ্তাহে সৌদি আরবে বৈঠকের পর এ সপ্তাহে আবারো বৈঠকে বসতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এই তথ্য জানিয়েছেন।
তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, আঙ্কারায় তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। সেখানে ল্যাভরভ বলেন, চলতি সপ্তাহেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আবারো বৈঠক করবে রাশিয়া। কূটনৈতিক মিশনগুলোতে কার্যক্রম পরিচালনায় যেসব সমস্যা তৈরি হয়েছে, সেসব বিষয় এবারের বৈঠকে গুরুত্ব পাবে।
গত সপ্তাহে সৌদি আরবে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকের ফলাফলও তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিদানের কাছে তুলে ধরেন ল্যাভরভ। তিনি সংবাদিকদের বলেন, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রিয়াদে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা আমরা আমাদের তুর্কি বন্ধুদেরকে কাছে বিস্তারিতভাবে শেয়ার করেছি। ওই আলোচনা একটি স্বাভাবিক সংলাপের সুযোগ তৈরি করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছে। যদিও এতে অনেক বিরোধিতা অব্যাহত রয়েছে।
ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ করা প্রসঙ্গে ল্যাভরভ বলেন, ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে ইউক্রেন, ইউরোপ এবং অন্য যে কোনো পক্ষের সঙ্গে কথা বলতে মস্কো প্রস্তুত রয়ছে। তবে এ যুদ্ধ তখনই বন্ধ হবে যখন মস্কোর জন্য গ্রহণযোগ্য একটি সমাধান মিলবে।
রাশিয়ার এই শীর্ষ কূটনীতিক দাবী করেন, এর আগে বেশ কয়েকবার যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া, কিন্তু ইউক্রেন সেই আহ্বানে কখনোই সাড়া দেয়নি। ল্যাভরভ আরও বলেন, ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে অবশ্যই তাকে ন্যাটোতে অন্তর্ভুক্ত করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
এদিকে, গত রবিবার হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট বলেছেন, চলতি সপ্তাহেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান হতে পারে। তিনি এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার দল এই যুদ্ধ বন্ধ করতে উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে জানিয়েছেন, আমরা এই সপ্তাহেই এটি সম্পন্ন করতে পারবো।
আমারবাঙলা/এমআরইউ