ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ৩৬ মিনিটে কেঁপে ওঠে নয়াদিল্লি ও এর আশপাশের এলাকা। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বাসিন্দাদের মধ্যে। লোকজন ছুটোছুটি করে ঘর ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন।
ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির (এনসিএস) তথ্য অনুযায়ী, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল চার। এর উৎপত্তিস্থল দিল্লির মধ্যেই এবং কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার গভীরে।
বিশেষজ্ঞরা জানান, সাধারণত পাঁচ বা ১০ কিলোমিটার গভীরতার অগভীর ভূমিকম্পগুলো তুলনামূলক বেশি ক্ষতি করতে পারে।
জানা গেছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল দিল্লির ধৌলাকুঁয়া। কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী এই কম্পনে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়দের দাবি, কম্পনের সঙ্গে সঙ্গে তীব্র শব্দও শোনা যায়। এ ছাড়া গত ২৫ বছরে দিল্লিতে এই ধরনের কম্পন অনুভূত হয়নি বলেও জানিয়েছেন তারা।
দিল্লি ছাড়াও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে ভারতের আগ্রা, হরিয়ানাসহ বিভিন্ন জায়গায়। এর আগে গত ১১ জানুয়ারি ও ২৩ জানুয়ারি দিল্লিতে কম্পন অনুভূত হয়েছিল।
ভূমিকম্পের পর ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক্স (সাবেক টুইটার) প্ল্যাটফর্মে এক বার্তায় জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান এবং সতর্কতার সঙ্গে নিরাপত্তা নির্দেশিকা মেনে চলার পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, দিল্লি এবং আশেপাশের এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়েছে। সবাইকে শান্ত থাকার এবং নিরাপত্তা সতর্কতা মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে, সম্ভাব্য আফটারশকের জন্য সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করছি। কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতির ওপর নিবিড় নজর রাখছে।
দিল্লি অত্যন্ত ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত। এটি ভারতের ভূমিকম্প সংবেদনশীল ‘জোন ৪’ অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত; যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ শ্রেণিতে পড়ে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দিল্লিতে একাধিকবার চার বা এর বেশি মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। শহরটি প্রায়ই দূরবর্তী ভূমিকম্পের কম্পন অনুভব করে, বিশেষ করে হিমালয়, আফগানিস্তান ও চীন থেকে উৎপন্ন ভূমিকম্পগুলোর প্রভাব সেখানে টের পাওয়া যায়।
সাধারণত ভূগর্ভের ১০০ কিলোমিটার বা তার বেশি গভীরে উৎপন্ন ভূমিকম্প অনেকটা দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে। তবে যত দূরে উৎপত্তি হয়, এর শক্তি তত কমে যায় এবং কম্পনের মাত্রা দুর্বল হয়ে যায়।
আমারবাঙলা/এমআরইউ