গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেস্তে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছিল গত কয়েকদিনে। সর্বশেষ তা কেটে গেছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, গাজা নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস তাদের হাতে বন্দি তিন ইসরায়েলিকে মুক্তি দিচ্ছে শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি)। এর বিনিমিয়ে ইসরায়েলের বন্দিশিবির থেকে মুক্তি পাচ্ছে ৩৬৯ জন ফিলিস্তিনি।
এর আগেই হামাস আমেরিকান-ইসরায়েলি ইয়াইর হর্ন এবং রাশিয়ান-ইসরায়েলি সাগুই দেকেল-শেন ও সাশা ত্রুফানভ নামের তিন ইসারয়েলি বন্দিকে মুক্তি ঘোষণা দেয়।
প্রথম ধাপে ছয় সপ্তাহের (৪২ দিন) যুদ্ধবিরতি চুক্তি পুরোপুরি ভেস্তে যাওয়ার যে শঙ্কা দেখা দিয়েছিল, মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় হামাস ফের তিন জিম্মিকে মুক্তি দিতে রাজি হওয়ায় তা কেটে গেছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা সংলগ্ন কিবুতজ নির ওজ এলাকায় হামলা চালানোর সময় এই তিন ইসরায়েলিকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল হামাস।
হামাস ও ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হুমকিতে ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি কেঁচে যেতে বসেছিল কয়েকদিন আগে।
ইসরায়েল গাজায় ত্রাণ প্রবেশে বাধা দিয়ে যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করছে- এমন অভিযোগ তুলে হামাস আর কোনো জিম্মিকে মুক্তি না দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল।
এর পাল্টায় ইসরায়েলও ফের যুদ্ধ শুরুর হুমকি দিয়ে রিজার্ভ সেনা তলব ও সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়।
এর আগে গত সপ্তাহে হামাসের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া তিনজন জিম্মির জীর্ণশীর্ণ চেহারা এবং তাদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া দুর্ব্যবহারের বিষয়টি প্রকাশের পর ইসরায়েলিদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়। সব জিম্মিকে ফিরিয়ে আনতে সরকার যাতে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সচল রাখে, সেই দাবিও ওঠে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের স্থায়ীভাবে সরিয়ে ছিটমহলটি তাদের কাছে হস্তান্তরের আহ্বান জানানোর পরও যুদ্ধবিরতি টিকবে কিনা তা নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। ট্রাম্পের প্রস্তাব ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী এবং আরব দেশগুলো এরই মধ্যে শক্তভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
শনিবারের আগে হামাস ৩৩ জন জিম্মির মধ্যে ১৬ জনকে মুক্তি দিয়েছিল, যাদের মধ্যে পাঁচজন থাই নাগরিকও ছিলে। এরপর গাজায় এখনো ৭৬ জন জিম্মি রয়েছেন, যাদের মধ্যে প্রায় অর্ধেক জীবিত বলে মনে করা হচ্ছে।
আমারবাঙলা/এমআরইউ