মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্ত্রী ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প। তাদের বিবাহিত জীবন দুই দশকের। এই দীর্ঘ সময়ে মেলানিয়া ট্রাম্প নানা কারণে ছিলেন আলোচনায়। কখনো স্বামীকে সমর্থন করে সব সময় পাশে দাঁড়ানোর ভূমিকায়, কখনো তার ফ্যাশনেবল আউটফিটের জন্য।
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে বিশেষভাবে আলোচনায় ছিলেন মেলানিয়া। তার বোটার স্টাইলে নকশা করা টুপি সবার নজর কেড়েছে। সঙ্গে স্বাস্থ্যসচেতনদের ভাবতে বাধ্য করেছে ‘৫৪ বছর বয়সেও এত ফিট থাকা কীভাবে সম্ভব?’
স্লোভেনিয়ার সাবেক মডেল হিসেবে মেলানিয়া স্টাইল ও ফিটনেসের কারণে সব সময় আলোচনায় ছিলেন। ৫৪ বছর বয়সেও মুখ বলিরেখাহীন, ত্বকে তারুণ্যের ঝলক। ২০২২ সালের আগস্টে জিকিউ সাময়িকীকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেলানিয়া বলেন, ‘ফিটনেসের বেলায় আমার দৃঢ় প্রতিজ্ঞাই আমার লুক ফুটিয়ে তুলতে মূল ভূমিকা রাখে।’
ফিট থাকার রহস্য
জিকিউ সাময়িকীর সাক্ষাৎকার অনুযায়ী, মেলানিয়া ট্রাম্পের ফিটনেসের গোপন রহস্য হলো প্রতিদিনের ওয়ার্ক আউটে ‘অ্যাঙ্কেল ওয়েট’ রাখা। মেলানিয়া বলেন, ‘পাঁচ থেকে ১৫ শতাংশ ক্যালরি পোড়াতে এটি খুবই কার্যকর ব্যায়াম। যারা কাঙ্ক্ষিত মেদহীন ফিগার পেতে চান, তাদের জন্য অ্যাঙ্কেল ওয়েট ওয়ার্ক আউট বিশেষভাবে জরুরি।’
মেলানিয়া তার ফিটনেস ধরে রাখতে ঘরেও অ্যাঙ্কেল ওয়েট পরে হাটাচলা করেন। অ্যাঙ্কেল ওয়েট ছাড়াও নিয়মিত একাধিক ব্যায়ামের অভ্যাস এবং ফলমূলভিত্তিক ডায়েট তাঁকে ফিট রাখতে সাহায্য করে।
পিলাটিস
মেলানিয়া ট্রাম্পের ফিটনেসের আরেক রহস্য হলো ‘পিলাটিস’। পিলাটিস মূলত মন ও শরীরের ব্যায়ামের একটি ধরন। মেলানিয়া এই পিলাটিসের মহাভক্ত। তিনি বলেন, এই ব্যায়াম ঘরেই করা যায়, সহজ। পিলাটিস শুধুই ওজন কমানোর কাজই করে না বরং এটা চোটাঘাত উপশমে কার্যকর এবং শরীরের শক্তি বাড়াতেও কাজ করে।
টেনিসপ্রেম
মেলানিয়া ট্রাম্প টেনিস খেলতে খুব ভালোবাসেন। বলা যায়, টেনিস তার বিশেষ আবেগের ও ভালোবাসার জায়গা। বিভিন্ন সূত্র অনুযায়ী, মেলানিয়া তার বেশির ভাগ শীতকালীন সময় কাটান ‘মার এ লাগো’ নামক ফ্লোরিডার এক প্রাইভেট ক্লাবে। ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই বিশাল এক অট্টালিকাকে এই প্রাইভেট ক্লাবে রূপান্তরিত করেছেন। মেলানিয়া সেখানে অনেকটা সময় টেনিস খেলেন, যা তাঁকে ফিট রাখতে সাহায্য করে।
মেলানিয়ার নিয়মিত ডায়েট চার্ট
মেলানিয়ার ডায়েট স্বাস্থ্যকর, তবে সহজ। পুষ্টিতে ভরপুর ব্লুবেরি, গাজর, পালংশাক, ফ্যাট–ফ্রি টকদই ও আপেলের রস দিয়ে তৈরি এক গ্লাস স্মুদি দিয়ে দিন শুরু করেন। তারপর সারা দিনে কমপক্ষে সাত ধরনের ফল, বিশেষত আপেল ও পিচ দিয়ে তৈরি খাবার খান। এ ছাড়া যখন পার্টিতে মিষ্টান্ন চেখে দেখেন, তখন ভারসাম্য করতে ফলের পরিমাণ কমিয়ে দেন। সূত্র: ইন্ডিয়া টাইমস।
আমারবাঙলা/এমআরইউ