ভারতের কাশ্মীরে এবার গাছের জন্য তৈরি হচ্ছে পরিচয়পত্র। জম্মু-কাশ্মীরের সাংস্কৃতিক ও পরিবেশগত প্রতীক ‘চিনার’ গাছের বিলুপ্তি ঠেকাতেই এমন পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এই প্রক্রিয়ায় জরিপকৃত প্রতিটি গাছে কিউআর কোডসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংযুক্ত করা হবে।
দ্রুত নগরায়নের ফলে কাশ্মীরবাসীর জীবনযাত্রায় উন্নতির রেখা দেখা দিলেও তার ঝক্কি পোহাতে হচ্ছে পরিবেশকে। ভূস্বর্গ হারাতে বসেছে তার অন্যতম আকর্ষণ ‘চিনার’ গাছ। এবার, চিনার গাছকে বিলুপ্তি থেকে রক্ষা করতে অভিনব পদক্ষেপ নিলো জম্মু-কাশ্মীর সরকার।
জানা গেছে, এবার ডিজিটাল ট্রি আধার শুরু করবে তারা। অর্থাৎ, গাছের জন্যও তৈরি হবে পরিচয়পত্র। প্রত্যেকটি চিনার গাছের খুঁটিনাটি তথ্য থাকবে সরকারের কাছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘এখন থেকে প্রতিটি গাছের আধার নাম্বার থাকবে, যা আমরা ডিজিটাল ইন্ডিয়া’র সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি করেছি। প্রতিটি গাছেই কিউআর কোড যোগ করা হয়েছে, যা স্ক্যান করলেই গাছটির যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে। এখন পর্যন্ত আমরা ২৮ হাজার ৫৬০টি গাছের জরিপ করে তাদের তথ্য সংগ্রহ করেছি।’
গাছের অবস্থান, স্বাস্থ্য, কীভাবে গাছটি বেড়ে উঠছে- সব তথ্যই পাওয়া যাবে ওই কিউআর কোডে। গাছগুলোর আশপাশে প্রকৃতি বদলাচ্ছে কি না, কোনোভাবে গাছের ক্ষতি হতে পারে কি না, সেটাও জানা যাবে এর মাধ্যমে। প্রশাসনের এই পদক্ষেপের প্রশংসা করছেন পর্যটকরাও।
সাধারণত একেকটি চিনার গাছ পরিপক্ক হতে ১৫০ বছর লাগে। ৩০ মিটার লম্বা হয় গাছগুলো। কিন্তু, দীর্ঘদিন ধরেই কাশ্মীরে আশঙ্কাজনকভাবে কমছে চিনার গাছের সংখ্যা। ১৯৭০ এর দশকে ৪২ হাজার গাছ ছিল ভূস্বর্গে। কিন্তু, এখন সেটা কমে ৩৪ হাজারে দাঁড়িয়েছে। সে কারণেই চিনার গাছ বাঁচাতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
আমারবাঙলা/জিজি