প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেওয়ার পরপরই ডোনাল্ড ট্রাম্প জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হওয়ার অধিকার সংক্রান্ত যে নির্বাহী আদেশে সই করেছিলেন, তা সাময়িক স্থগিত করেছেন আদালত।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের সিয়াটলে ফেডারেল বিচারক জন কুফনার এ আদেশ দেন। আদেশটি স্থগিত করতে ওয়াশিংটনের অ্যাটর্নি জেনারেল নিক ব্রাউন এ আবেদন করেছিলেন।
এর মাধ্যমে নির্বাহী আদেশে সইয়ের এক সপ্তাহের মধ্যে তা বড় ধরনের আইনি বাধার মুখে পড়ল। আদালত ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশকে ‘পুরোপুরি অসাংবিধানিক’ বলে বর্ণনা করেন। বিচারক জন কুফনার বলেন, ‘আমি চার দশক ধরে (আদালতের) এ বেঞ্চে আছি। আমি আর কোনো মামলা এত স্পষ্ট দেখিনি।’
গত সোমবার শপথ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর পরই তিনি অন্তত ১০০টি নির্বাহী আদেশে সই করেন। এর মধ্যে কয়েকটি সরাসরি অভিবাসনবিরোধী ছিল। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় গ্রহণের পথ বন্ধ করে দেন। পাশাপাশি এমন একটি আদেশে সই করেন, যা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে শুরু হয় বিতর্ক। তা হলো–নথিপত্রহীন বাবা-মা যদি যুক্তরাষ্ট্রে সন্তান জন্ম দেন, তবে ওই সন্তান দেশটির নাগরিক হতে পারবে না। ট্রাম্পের এ আদেশ মার্কিন সংবিধানবিরোধী। এ আদেশের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার অন্তত ২২টি অঙ্গরাজ্যে মামলা হয়।
ওয়াশিংটন ছাড়াও অ্যারিজোনা, ইলিনয় ও ওরেগন অঙ্গরাজ্যে এদিন এসব মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের অধিকার বাতিল প্রসঙ্গে আইনজীবীদের দাবি, প্রেসিডেন্ট বা ফেডারেল এজেন্সি সংবিধান অনুসারে এ ধরনের শর্ত আরোপ করার অধিকার রাখে না।
আমারবাঙলা/জিজি