দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে যাত্রীবাহী একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬২-এ পৌঁছেছে। রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) ভোরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দেশটির ইয়নহাপ সংবাদ সংস্থা এ খবর জানিয়েছে।
দুর্ঘটনার সময় জেজু এয়ারের উড়োজাহাজটিতে ১৭৫ জন যাত্রী ও ছয় জন ক্রু ছিলেন। উড়োজাহাজটি থাইল্যান্ড থেকে এসে অবতরণের সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
প্রাথমিকভাবে দুজনকে জীবিত উদ্ধারের খবর দিয়েছে দেশটির সংবাদ সংস্থা ইয়নহাপ। উদ্ধার কার্যক্রম চলছে। হতাহত মানুষের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
বিমানবন্দরের একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটির পেছনের অংশে উদ্ধারকাজ করে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটির বিভিন্ন অংশে আগুন জ্বলতে ও ধোঁয়া বের হতে দেখা গেছে।
সংবাদসংস্থা ইয়নহাপ রিপোর্ট করেছে, বিমানবন্দরে অবতরণের চেষ্টা করার সময় পাখির সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে ল্যান্ডিং গিয়ারে ত্রুটির কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
স্থানীয় ফায়ার ডিপার্টমেন্টের রেসপন্স টিম অফিসার লি হাইওন-জি বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছেন, আমরা এখন পর্যন্ত দুর্ঘটনায় ৬২ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছি। তবে গুরুতর আহতদের কারণে মৃতের সংখ্যা আcvf বাড়তে পারে।
লি আরও বলেন, উদ্ধারকারী কর্তৃপক্ষ বিধ্বস্ত বিমানের পেছনের অংশ থেকে যাত্রীদের সরিয়ে নিচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিকভাবে টালমাটাল অবস্থায় থাকা দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সাং মক যথাযথভাবে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন বলে তার দপ্তর জানিয়েছে। গত শুক্রবার চোই সাং মক দেশের অন্তর্বর্তী নেতা হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন।
আমারবাঙলা/এমআরইউ