সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরো ৩৮ ফিলিস্তিনি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় আরো ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৪৫ হাজার ৯৭ জনে পৌঁছেছে।

এ ছাড়া গত বছরের অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরো লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় কমপক্ষে আরো ৩৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৫ হাজার ৯৭ জনে পৌঁছেছে বলে বুধবার অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিরামহীন এই হামলায় আরো অন্তত এক লাখ সাত হাজার ২৪৪ জন ব্যক্তি আহত হয়েছেন।

মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত আগ্রাসনে ৩৮ জন নিহত এবং আরো ২০৩ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন। উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকাজুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এ ছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

এ ছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।

আমারবাঙলা/এমআরইউ

Copyright © Amarbangla
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

বগুড়ায় একরাতে চার সন্তান জন্ম দিলেন প্রবাসীর স্ত্রী

বগুড়ার একটি হাসপাতালে একসঙ্গে চার পুত্র সন্তানের জ...

জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত ব্যক্তির মেয়ের মরদেহ উদ্ধার

জুলাই আন্দোলনে নিহত ব্যক্তির কলেজছাত্রী মেয়ের (১৮)...

নীলফামারীর ডিসির মানবিক উদ্যোগ; খোলা হলো রক্তদানে ‘হিমোগ্লোবিন’

‘মানবতার শ্রেষ্ঠ দান, রক্ত দিয়ে বাঁচাই প্রাণ’ শ্লোগানে নীলফামারীত...

সন্তানকে ফিরে পেতে পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সাবেক ছাত্র মো. সাইফ...

সাত খুনের রায় কার্যকরের অপেক্ষায় স্বজনরা

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের ঘটনায় ১১ বছর পূর্ণ হ...

কুলাউড়ায় আবাসিক হোটেল থেকে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় পৌর শহরের আজাদ বোর্ডিং নামের একটি আবাসিক হোটেল থেকে ফসি...

মেধাবী জাতি গঠনে ডিম এবং দুধের ভূমিকা অপরিহার্য

‘প্রাণীর স্বাস্থ্য রক্ষায় দলগত প্রচেষ্টা দরকার’ এই প্রতিপাদ্যকে...

ভালুকায় পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্যবর্ধনে স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন

পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর ভালুকা গড়ার লক্ষ্যে ভালুকা উপজে...

গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ গার্মেন্টস কর্মীর মৃত্যু

গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার মোগরখাল এলাকায় গ্যাস সি...

পোপ নির্বাচিত হন যেভাবে 

রোমান ক্যাথলিক চার্চের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব বেছে নিতে র...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
খেলা