আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কেপ টাউনসহ দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়েস্টার্ন কেপ প্রদেশে টানা কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ধ্বংসাত্মক আবহাওয়ায় ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। বহু বাড়ির ছাদ ধসে গেছে এবং ফসল নষ্ট হয়েছে। এছাড়া রাস্তা ও অন্যান্য অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে উদ্ধারকারী দলগুলো এখনো এমন লোকদের সন্ধান করছে, যারা তাদের আংশিকভাবে নিমজ্জিত বাড়িতে আটকে রয়েছেন।
বিবিসি জানিয়েছে, বন্যায় নিহত ১১ জনের মধ্যে ৮ জন বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা গেছেন। বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগের লাইন পানিতে পড়ার পর বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যান তারা।
পার্শ্ববর্তী লে রাউক্স নদীর পানি উপচে পড়ে ওউডশুর্ন শহরের একটি রিসোর্টে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭২ ছাত্রসহ ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক আটকা পড়েন। পরে বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে পানি নেমে যাওয়ার পর তাদের উদ্ধার করা হয়।
এদিকে বন্যায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া এলাকায় আটকা থাকা প্রায় ২০০ জন খামার শ্রমিককে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। বন্যার কারণে ৮০ টির বেশি রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রাদেশিক ক্যাবিনেট মন্ত্রী আন্তন ব্রেডেল বলেন, হেলিকপ্টারের মাধ্যমে আটকে পড়া লোকের সন্ধান চলছে।
সেখানকার বিদ্যুৎমন্ত্রী কেগোসিয়েনশো রামোকগোপা জানান, বন্যায় কমপক্ষে ১৫ হাজার বাড়ি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এছাড়া ওয়েস্টার্ন এবং ইস্টার্ন কেপ প্রদেশের কিছু অংশে রেল পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে।
বন্যা এ এলাকার বিখ্যাত আঙ্গুর ক্ষেতসহ সেখানকার কৃষি জমিকে খারাপভাবে ক্ষতির মুখে ফেলেছে। এতে সেখানে ফসল উৎপাদনে মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এতে বৃষ্টি পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন কেপটাউনের মেয়র জিওর্ডিন হিল-লুইস।
এবি/এইচএন